তুলসী পাতার উপকারিতা - তুলসী পাতা খাবার নিয়ম
পোস্ট সূচীপত্রঃতুলসী পাতার উপকারিতা ও তুলসী পাতার গুনাগুন
তুলসী পাতার উপকারিতাঃ
প্রায় আমাদের সবারই জানা তুলসী পাতা উপকারিতা। আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা নেই তুলসী পাতা খেলে কি উপকার পাওয়া যাবে। বেশ পুরনো ওষুধ হিসাবে তুলসী পাতার ব্যবহার। তুলসী পাতাতে রয়েছে নানান আয়ুর্বেদিক গুণ। তুলসী পাতা আমাদের শরীরের নানান রোগ থেকে মুক্তি দেয় যেমন, সর্দি কাশি,জ্বর,ডায়াবেটিকস,ক্যান্সার গলা,ব্যথা,চর্মরোগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,ওজন কমায় ইত্যাদি।
তুলসী পাতার গুনাগুনঃ
বলে শেষ করা যাবে না হয়তো তুলসীপাতার গুনাগুন। বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রতিদিন একটি করে তুলসী পাতা খেতে হবে সুস্থ থাকতে হলে। বাসার যেখানে আলো বাতাস পাই সেই স্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন তুলসী পাতার গাছ। ছোট থেকে বড় যে কোন মানুষের বয়সের রোগ ভালো করতে পারে তুলসী পাতা।
আরো পড়ুনঃ তিন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন
ছোট বাচ্চাদের যদি সর্দি কিংবা কাশি হয় তাহলে তুলসী পাতার বের করে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে আশা করা যায় ছোট বাচ্চাদের সর্দি ও কাশি ভালো হয়ে যাবে।তুলসী পাতার নানান গুণ রয়েছে বলেই যুগ যুগ ধরে রয়েছে ঔষুধের তালিকায়।জেনে নিন কিছু তুলসী পাতার উপকারিতা ও গুনাগুনঃ-
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃদৃষ্টিশক্তি বাড়াতে তুলসী পাতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন তুলসী পাতার এর সাথে মধু মিস করে খাওয়ার অভ্যাস করুন। তুলসী পাতা রস ও মধু একসাথে মিস করে খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে শরীরের আরো নানান রোগ ব্যাধি ভালো করতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে প্রতিদিন তুলসী পাতা খেলে।
ত্বকের যত্নেঃতুলসী পাতা ত্বকের যত্নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তুলসী পাতাতে রয়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নানা উপাদান। যা মানুষের শরীর বয়সের ছাপ কমাতে ও সাহায্য করে। অনেক মানুষ আছে যৌবন ধরে রাখতে তুলসী পাতা । আপনি যদি যৌবন ধরে রাখতে চান তাহলে তুলসী পাতা বেটে সেটা থেকে রস বের করে নিয়ে তার সাথে মধু মিস করে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।এতে করে ত্বক আরো সুন্দরও ঝলমলে হয়ে উঠবে।
গলা ব্যথা দূর করেঃগলা ব্যথা ভালো করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। গলা ব্যথা ভালো করতে অন্য কোন ওষুধের থেকে তুলসী পাতা অনেক দ্রুত কাজ করে। আপনার যদি গলা ব্যথা হয় তাহলে আপনি সকালে ও বিকাল.৮ থেকে ১০ টা তুলসী পাতা নিয়ে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন আশা করা যায়। খাবার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পেয়ে যাবেন। কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া লাগবে না। আর এটা সপ্তাহে ৬ থেকে ৭ দিন খেতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃএক মরণঘাতী রোগের নাম ক্যান্সার। কিন্তু ক্যান্সার ভালো করতেও তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। আর তুলসী পাতাতে যে উপাদানটি রয়েছে সেটি হল রেডিও প্রটেকটিভ যা মরণঘাতী টিউমারের কোষগুলো ধ্বংস করে। আর আমরা যদি প্রতিদিন তুলসীপাতা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাব। এবং তার পাশাপাশি বেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাব।
আরো পড়ুনঃ প্লাস্টিক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
সর্দি ও কাশিঃসর্দি-কাশি ভালো করতে তুলসী পাতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। সর্দি ও কাশি ভালো করতে অন্য সব ওষুধের থেকে তুলসী পাতা অনেক দ্রুত কাজ করে। কারো যদি সর্দি ও কাশি হয় তাহলে সে যেন প্রতিদিন গরম পানি করে তার মধ্যে তুলসী পাতা , মধু , আদা ও লেবু মিশিয়ে খেয়ে ফেলে তাহলে সর্দিও কাশি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃরোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসী পাতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া শরীরের সকল যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। তুলসী পাতা বেটে সেটা থেকে রস বের করে নিয়ে সেই রসের সাথে ২ থেকে ৩ চা চামচ মধু মিস করে খেলে আশা করা যায় শরীরে যাবতীয় সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া লাগবেনা।
ওজন কমাতেঃশরীরের ওজন কমাতে তুলসী পাতা একটি কার্যকরী সমাধান। শরীরের কোলেস্টেরল ও সুগার দুটোই ঠিক রাখে তুলসী পাতা। তাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় শরীরের ওজন খুব সহজেই। এক গ্লাস গরম পানিতে তুলসী পাতা , মধু , আদা ও লেবু একসাথে মিস করে খেলে আপনার শরীরে যতই ওজন থাকুক না কেন শরীরের ওজন ধীরে ধীরে কমে আসবে। এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া লাগবেনা।
ডায়াবেটিস দূর করতেঃডায়াবেটিস ভালো করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন করে তুলসী পাতা। প্রতিদিন তুলসী পাতা খেলে শরীরের সুগার এর মাত্রা কমে যায়। তুলসী পাতা শরীরের এর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যদি প্রতিদিন সকালে ও রাতে তুলসী পাতা ,মধু ,আদা এর সাথে গরম পানিতে ভালো করে মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিকসহ আরো নানান রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
পেটের সমস্যার জন্যঃএটাই সমস্যা ভালো করার জন্য তুলসী পাতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নানান কাজের জন্য বাসা থেকে বের হতে হয়। বাইরে থেকে নানান খাবার খেতে হয় । আর এই খাবারের ফলে আমাদের শরীরে দেখা দেন নানান রোগ । আর এই রোগ ভালো করতে তুলসী পাতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে মেহেদি পাতার উপকারিতা
কারো যদি পেটে সমস্যা হয় তাহলে তুলসী পাতা থেকে রস বের করে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে আশা করা যায় এটা পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে এতে কোন পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া নেই। আর কোন ডাক্তারকে পরামর্শ নেয়া লাগবে না। তুলসী পাতা খেলে ভালো হয়ে যাবে।
তুলসী পাতার ব্যবহারঃ
আমরা সবাই জানি তুলসী পাতাতে রয়েছে নানান আয়ুর্বেদিক গ্রহণ। এই তুলসী পাতা আমাদের সকল রোগ ভালো করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা আমরা খেয়েও ভালো করতে পারি এবং সেটা বেটেও শরীরে লাগাতে পারে এতে আমাদের সমস্ত রোগ ভালো হয়ে যাবে।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতাঃ
ভরা পেটের চেয়ে তুলসী পাতা খালি পেটে ভালো কাজ করে। তুলসী পাতাতে রয়েছে
ভিটামিন বি সমৃদ্ধ নানান উপাদান যেটা শরীর এবং ত্বককে ভালো
রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি খালি পেটে তুলসী পাতা খান তাহলে মহজমে ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করবে,সুগার কন্ট্রোল ঠিক রাখবে,সর্দি ও কাশি হতে দিবে
না,গলায় কফ হলে সেটা দূর করবে,গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে,ত্বক ঠিক রাখতে
সাহায্য করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url