বেল খাবার উপকারিতা - বেল খাবার নিয়ম
পোস্ট সূচিপত্রঃবেল খাবার উপকারিতা ও বেলের পুষ্টিগুণ
- বেল খাবার উপকারিতা
- বেলের পুষ্টিগুণ
- বেল কোন মাসে পাকে
- বেল খাওয়ার সময়
বেল খাবার উপকারিতা ঃ
একটা ফলের নাম বেল যা খুবই সহজলভ্য এবং খুবই সাধারণ। যা বাজারে প্রতিটি দোকানে
পাওয়া যায় খুবই কম দামি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বেলের উপকারিতা
সম্পর্কে জানিনা এবং আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা বেল কিভাবে সতেজ
রাখতে হয় ও বেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেনা আজকে আমরা বেলের উপকারিতা ও
বলে পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
আরো পড়ুনঃত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও ত্বীন ফলেরগুনাগুন
এমন মানুষ নেই বললেই চলে বেল কিংবা পাকা বেলের শরবত পছন্দ করেনা। যার উপকারিতার কোন শেষ নেই বেল এমন একটি ফল। তবে মানুষের মুখে একটি প্রবাদ শোনা যায়, অতি ভালো ভালো না। তবে কিছু অপকারিতাও আছে বেলে। আজকে আমরা বেল খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
বেলের পুষ্টিগুণঃ
আমাদের বাংলাদেশে বেল খুবই জনপ্রিয় একটি ফল হিসেবে পরিচিত। আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখা সহ বেলে রয়েছে নানান গুনাগুন। এই গরমে যদি একটু আর পাকা বেলের শরবত খাবার যায় তাহলে যেন শরীরটা জুড়িয়ে যায়। পাকা বেলের শরবত আমাদের শরীরের ক্লান্ত দূর করে এবং নানান রোগ থেকে আমাদেরকে মুক্তি দেয়। বেল পাকা হোক কিংবা কাঁচা হোক দুটা সমানই উপকারী। চলুন বন্ধুরা বেলের কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নি।
আরো পড়ুনঃ মধু খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃকোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। পেট পরিষ্কার রাখতে বেল খুবই উপকারী একটি খাবার। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে বেল খুবই উপকারী একটা ফল যা আমরা ছোটকাল থেকে শুনে আসছি। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস বেলের শরবত খেয়ে থাকি তাহলে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবো। বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে যে পেট ব্যথা হয় সে পেট ব্যথা ভালো করে।
আর শক্তি বৃদ্ধি করেঃহজমের শক্তি বৃদ্ধি করতে বেল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের সবারই বদহজম হয় গরমের সময়। আমাদের প্রতিনিয়ত হজমের সমস্যা ,পেট ব্যথা নানান সমস্যা লেগে থাকে। আর এইসব সমস্যার সমাধান করার জন্য বেল খুবই উপকারী একটি খাবার।
ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করেঃক্যান্সার কমাতে বেল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বেলে রয়েছে নানান পুষ্টিকরি উপাদান যাকে ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে। কারো যদি ক্যান্সার হয় আর সে যদি ক্যান্সার ভালো করতে চাই। তাহলে সে যেন প্রতিদিন একটা করে পাকা বেল খায় এবং সকালে ও বিকাল এক গ্লাস করে পাকা বেলার শরবত খায়। আশা করা যায় এতে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করেঃডায়াবেটিক্স ভালো করতে বেলের ভূমিকা অপরিসীম। মিথানল নামে একটি উপাদান রয়েছে পাকা বেলে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। অসামান্য ভূমিকা রাখে মিথানোড ব্লাড সুগার কমাতে। কারো যদি ডায়াবেটিক্স হয় সে যেন প্রতিদিন সকাল ও রাতে এক গ্লাস করে পাকা বেলে শরবত খাই। তাহলে তার ব্লাড সুগার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকবে।কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া লাগবে না।
এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করেঃবেলের শরবত শরীরে এনার্জি বাড়াতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বেল শরীরের এনার্জির ঘাটতি গুলো পূরণ করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। আমরা যদি প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক গ্লাস করে বেলে শরবত খায় তাহলে আমাদের আর শরীরের এনার্জি নিয়ে ভাবতে হবে না। ২০০ গ্রাম. বেলের মধ্যে রয়েছে ২৮০ ক্যালরি এনার্জি। যা শরীর থেকে সমস্ত রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
জন্ডিস কমাতে সাহায্য করেঃজন্ডিস কমাতে বেল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যদি জন্ডিস হয় তাহলে বেল খেলে জন্ডিস অনেকাংশে কমে যায়। যদি কারো জন্ডিস হয় তাহলে সে যেন প্রতিদিন সকাল ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমানোর আগে এই গ্লাস বেলে শরবত খেলে আশা করা যায় আপনার জন্ডিস ভালো হয়ে যাবে। জন্ডিস ভালো হওয়ার সাথে সাথে আপনার শরীর থেকে আরো নানান রোগ দূর করে দিবে এই পাকা বেল।
আরো পড়ুনঃ
চিনি খাওয়ার উপকারিতা ও চিনির ক্ষতিকর দিক
বেল কোন মাসে পাকেঃ
বেল এমন একটি ফল যা সাধারণত প্রত্যেকটা জেলাতেই পাওয়া যায়। বেল গাছ সাধারণত একটি কাঁটাযুক্ত গাছ। বেল গাছে সাধারণত মে -জুন মাসে ফল আসে এবং আগস্ট-নভেম্বর মাসে বেল ফল পাকতে শুরু করে।
বেল খাওয়ার সময়ঃ
বেল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরের সমস্ত রোগ দূর করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বেল আমরা দুইভাবে খেতে পারি যেমন কাঁচা ও পাকা। কাঁচা বেল আমরা রেধে খেতে পারি এবং পাকা বেল আমরা শরবত করে খেতে পারি। বেল পাকা হোক কিংবা কাঁচা দুটো বেলি শরীরে শক্তি জগতে সাহায্য করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url