চর্ম রোগের ঔষধ-চর্ম রোগ ভালো করার ঘরোয়া উপায়
পোস্ট সূচীপত্র ঃচর্ম রোগের ঔষধ-চর্ম রোগ ভালো করার ঘরোয়া উপায়
- চর্ম রোগ কেন হয়
- চর্ম রোগের লক্ষণ
- চর্ম রোগ ভালো করার ঘরোয়া উপায়
- চর্ম রোগ ভালো করার ঔষধ
- চর্ম রোগ ভালো করার ক্রিম
চর্ম রোগ কেন হয় ঃ
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ । অর্গান বা অঙ্গ হচ্ছে চামড়া বা ত্বক সবচেয়ে বড় আমাদের শরীরের , পানির একটি স্তর যার নিচের ভাগে রয়েছে । এই ত্বক সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে সব ধরনের পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর জন্য । ত্বকেরও কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় জলবায়ুর তারতম্য সঙ্গে সঙ্গে।
ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয় শীত শুধু সঙ্গে সঙ্গে। শীতকালীন চর্মরোগ দেখা দেয় ভিন্ন ভিন্ন । শীতকালীন সময়ে বেড়ে যেতে পারে আগের নিয়ন্ত্রণ থাকা চর্মরোগ। শীতকালীন সময় যে রোগ গুলো সচরাচর বেড়ে যায় সেগুলো হল ,( একজিমা , খুশকি , সেবোরিক ডার্মাটাইটিস,অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস,ইকথায়োসিস, সোরিয়াসিস, স্ক্যাবিস, ঠোঁট ফাটা , চিলাইটিস, ক্র্যাক হিল বা পা ফাটা ইত্যাদি। )
চর্ম রোগের লক্ষণ ঃ
আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ ত্বক। মানুষের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বিভিন্ন
রকম চর্মরোগ। সমজাতীয় উপসর্গ প্রদর্শন করে তাদের মধ্যে অধিকাংশ চর্মরোগ। আপনার
শরীরে যদি চর্ম রোগ হয় তাহলে আপনাকে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত
যাতে করে সে আপনাকে চর্ম রোগের যাবতীয় চিকিৎসা দিতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় বিস্তারিত জানান
এ পৃথিবীতে নানান ধরনের রোগ যেমন আছে তেমনি নানান ধরনের রোগের লক্ষণও আছে যেমন, (ডায়াবেটিস ,কলেরা , জন্ডিস ,টাইফার্ড ,করোনা ভাইরাস ক্যান্সার ,চোখ উঠা ,পেটে গ্যাস , স্কিনে ইনফেকশন , স্তনে ক্যান্সার , ইত্যাদি)
তেমনি চর্ম রোগেরও কিছু লক্ষণ আছে। সেগুলো তুলে ধরা হলো।
একজিমা ঘা ঃ একটি দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ হলো একজিমা অথবা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস ।একজিমা অথবা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস রোগের বেশ অনেক ধরনের উপসর্গ রয়েছে। কোন একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষা নেই একজিমা অথবা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস এ রোগটি নির্ণয় করার জন্য। কোন ডাক্তার সে ক্ষেত্রে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিতে হয়। যাতে প্রচুর সময় লেগে যায়। যে যে উপসর্গ গুলো দেখা যায় একজিমা রোগে তা তুলে ধরা হলোঃ
- চামড়া শুঁকে যাওয়া
- শরীর থেকে পুজপড়া
- উন্মুক্ত স্থানে ক্ষত
- ঘা
- চামড়ার রং পরিবর্তন হওয়া
- চুলকানি ভাব
- লালচে ভাব
ব্রন ঃসবচেয়ে সাধারণ চর্মরোগ হল ব্রণ। আপনার ত্বকের বা স্কিনের গ্রন্থিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে চর্মরোগ। ছোট ছোট গর্ত থাকে আপনার ত্বকে। আপনার ত্বকের স্ক্রিনের সাথে যুক্ত থাকে। সিবাম নামক একটি পদার্থ ক্ষতি হয় যা আপনার ত্বকে তেল গ্রন্থির কে নষ্ট করে দেয়। ব্রণ হয় সাধারণত এই সমস্ত গ্রন্থিগুলো অবরুদ্ধ হওয়ার জন্য।
আমাদের কখনো না কখনো ব্রণ হয়েছ ৯৫ এত শতাংশ মানুষের। যা বেশ চিন্তার কারণ। এক্ষেত্রে আপনার সবচাইতে ভালো হবে একজন ত্বক বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া। সেই ক্ষেত্রে সে আপনাকে চর্মরোগ বা ব্রনের যাবতীয় চিকিৎসা সে আপনাকে দিতে পারবে। যার ফলে আপনি খুবই জলদি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমি মনে করি।
চর্ম রোগ ভালো করার ঘরোয়া উপায় ঃ
চামড়া শুঁকে যাওয়া ,শরীর থেকে পুজপড়া ,উন্মুক্ত স্থানে ক্ষত ,ঘা ,চামড়ার রং পরিবর্তন হওয়া ,চুলকানি ভাব ,জ্বালাপোড়া , ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা হয়ে দাঁড়াই খুবই বিরক্তকর । ত্বকের স্বাভাবিক রং হারিয়ে যায় অনেক সময় এর ফলে। ত্বকের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরের যেকোনো জায়গায়।নানান ধরনের খাবারে এলার্জি যেমন,(বেগুন,মসুরের ডাল,গরুর মাংস,ইলিশ মাছ ,পুঁইশাক ,বেগুন ,পুটি মাছ ,ইত্যাদি)। নানান ধরনের রাসায়নিক স্পর্শ আশা যেমন,( ইউরিয়া ,পটাশ ,ফসফেট , ইত্যাদি)।নানা ধরনের পোকা মাকড়ের কামড় যেমন,(সাপ ,বিচ্ছু ,ব্যাঙ ,মাকড়সা ,টিকটিকি ,কাকলাস ,গুইসাপ , ইত্যাদি ) এবং চুলকানি, কষ্ট রোগ, ঠান্ডা জনিত সমস্যা ইত্যাদি ত্বকের সমস্যা হতে পারে আরো নানান কারণে।
আরো পড়ুন ঃ শির্কের ভয়াবহ গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়
আমাদের চোখে পড়ে খুব সহজেই যখন ত্বকে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় । মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে তা থেকে। তবে বাজারে ত্বকের সমস্যা ভালো করার জন্য রয়েছে নানান ক্রিম সেই সব ক্রিম এর উপর নির্ভর না হয়ে এখন থেকে আমরা ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের চিকিৎসা করব ।
অলিভ অয়েল ঃঅলিভ অয়েল চর্মরোগ ভালো করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। একাধিক গুনাগুন রয়েছে অলিভ অয়েলের মধ্যে । অলিভ অয়েল ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। ত্বকে মিশে গিয়ে আদ্রতা বজায় রাখে এই তেলের ভিটামিন । ৪ থেকে ৫ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে শরীরের যে যে স্থানে চর্মরোগ হয়েছে সেই সেই স্থানে এই অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করলে আশা করা যায় চর্মরোগ খুবই দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ।
নিম পাতা ঃচর্ম রোগ ভালো করতে নিম পাতা ভূমিকা পালন করে অপরিসীম। নিম পাতা রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুণ যা অনেক বিজ্ঞই বলে থাকে। নিমপাতা আমরা দুইভাবে ব্যবহার করতে পারি প্রথমত নিমপাতা আমরা গরম করে সেটা দিয়ে গোসল করে আমরা চরমভাবে ভালো করতে পারি। আর দ্বিতীয়ত নিমপাতা তুললে সেটা ভালো করে পাটা দিয়ে বেটে নিয়ে সেটা পেস্ট করে চর্মরোগ বা ক্ষতস্থানে
প্রথমে আমাদের অনেকগুলো নিমপাতা তুলতে হবে তারপরে সেগুলো কুসুম পানি দিয়ে গরম করে নিতে হবে। তারপরে সেই পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং যে যে স্থানে চর্মরোগ বা ক্ষত রয়েছে সেই সেই স্থানে পাতলা একটা তেনা দিয়ে ভৌত করতে হবে আশা করা যায় । সপ্তাহে ৭ থেকে ৮ দিন নিমপাতা গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরে যাবতীয় রোগ ভালো হয়ে যাবে।
নিম পাতা আমরা আরেকভাবে ব্যবহার করতে পারি যেমন অনেকগুলো নিমপাতা তুলে নিয়ে সেটা পাটাতে ভালো করে বেটে নিতে হবে। তারপরে সে নিমপাতা গুলো শরীরের যে স্থানে চর্মরোগ বা ক্ষত ও এলার্জি রয়েছে সেই স্থানে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এটা ৮ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করলেই আশা করা যায় আমাদের শরীর থেকে সমস্ত রোগ নির্মূল হয়ে যাবে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
অ্যালোভেরা ঃচর্মরোগ ভালো করতে এলোভেরা অনেক বড় ভূমিকা অপরিসীম। একাধিক গুনাগুন রয়েছে এই অ্যালোভেরাতে । অ্যালোভেরা আমরা দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারি, প্রথমত আমাদের শরীরে যে স্থানে চর্মরোগ হয়েছে সেই স্থানে আমরা এলোভেরা লাগাতে পারি । আর দ্বিতীয়ত এলোভেরা আমরা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারি।
প্রথমে একটা অ্যালোভেরা নিয়ে সে টা থেকে ভালো করে রস বের করতে হবে তারপরে যে স্থানে চর্মরোগ বা ক্ষত হয়েছে সেই স্থানে সেটা ভালো করে লাগাতে হবে। তারপরে 20 থেকে 30 মিনিট সেই স্থানে লাগানোর পর সেই স্থানে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ।এভাবে সপ্তাহে ৭ দিন ব্যবহার করতে হবে আশা করা যায় এভাবে ব্যবহার করলে শরীরের ক্ষত ও এলার্জি বা চর্ম রোগ ভালো হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন ঃ মধু খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরে যখন কোন চর্মরোগ বা ক্ষত সৃষ্টি হয়। তখন আমরা একটা এলোভেরা নিয়ে সেটা থেকে ভালো করে রস বের করে নিতে হবে। তারপরে ৩ থেকে ৪ চা চামচ অ্যালোভেরা নিয়ে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে ও ঘুমানোর আগে খেয়ে নিতে হবে। এটা সপ্তাহে ৭ দিন খেতে হবে খেলে আশা করা যায় চর্মরোগ বা এলার্জি আমাদের শরীর থেকে সারা জীবনের জন্য নির্মূল হয়ে যাবে।
বেকিং সোডা ঃবেকিং সোডা আমাদের শরীরের ত্বকের নানান সমস্যা ও খুশকি দূর করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। সামান্য পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ত্বকের যে জায়গায় সমস্যা ও মাথায় যে জায়গায় খুশকি সেই জায়গায় ভালো করে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ক্ষত ও খুশকির চুলকানি কমে যাবে। এভাবে ৮ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করতে হবে । আশা করা যায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই আমাদের শরীরের ত্বকের সমস্যা ও খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে
তুলসী পাতা ঃত্বকের যে কোন সমস্যা ভালো করতে তুলসীর পাতার ভূমিকা অপরিসীম। তুলসীতে রয়েছে হাজারো আয়ুর্বেদিক গুণ ফলে ত্বকের যে কোন সমস্যা ভালো করতে একটি কার্যকরী সমাধান। তুলসী পাতা রস নানান ধরনের ক্ষত যেমন , চুলকানি ,ত্বকে জ্বালাপোড়া , ত্বকে লাল ছাপ , ভালো করতে সাহায্য করে।
প্রথমে অনেকগুলো তুলসী পাতা তুলে সেটা পাটাতে বেটে নিতে হবে। তারপরে সেই বাটা তুলসী পাতা শরীরের যে যে স্থানে চর্মরোগ হয়েছে সেই সেই স্থানে সেই বাটা তুলসী পাতা লাগাতে হবে। তারপরে 20 থেকে 25 মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ।আর এটা সপ্তাহে সাত দিন ব্যবহার করতে হবে। আশা করা যায় চর্মরোগ ও ত্বকে যাবতীয় সমস্যা এই তুলসী পাতার রসে ভালো হয়ে যাবে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
চর্ম রোগ ভালো করার ঔষধ ঃ
চর্মরোগ ভালো করার কিছু ওষুধের নাম দেওয়া হল-ঃ
- 444FEXO 120
- ALATROL
- SAFI
- TERBIN
- VORICONAZOLE 200
- VORI
- FLUGAL
চর্ম রোগ ভালো করার ক্রিম
- 555FACID
- DERMASOL
- TOPICORTT
- SCABEX
- FLUCLOX
- FUNGIDAL HC
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url