OrdinaryITPostAd

খাবার আগে বিসমিল্লাহ বলার ফজিলত - খাবার খাওয়ার আগে ও পরের দোয়া

আপনি যদি খাবার সময় কি বলতে হয় জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে খাবার সময় বা খাওয়ার আগে কি বলতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে আমি মনে করি।


পোস্ট সূচিপত্র - খাবার আগে 'বিসমিল্লাহ' বলার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

  • বিসমিল্লাহ' শব্দটির অর্থ কি
  • খাবার আগে 'বিসমিল্লাহ'বলার ফজিলত 
  • খাবার আগে 'বিসমিল্লাহ'বলতে ভুলে গেলে কি পড়তে হয় জানুন

'বিসমিল্লাহ' শব্দটির অর্থ কি - 

'বিসমিল্লা' শব্দটির অর্থ হচ্ছে আমি কোন কাজ শুরু করছি আল্লাহর নামে। যিনি আমার সৃষ্টিকর্তা , পালনকর্তা,রিজিকদাতা,পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু। আমরা সকল মুসলিমরা কাজের শুরুতে ও খাবার আগে 'বিসমিল্লাহ' বলে থাকে।

খাবার আগে 'বিসমিল্লাহ'বলার ফজিলত -

বিসমিল্লাহ শব্দটির অর্থটি হচ্ছে আল্লাহর নামে শুরু করলাম। কোন কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করার ফজিলত অনেক। পবিত্র কোরআন শরীফে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,১৯ টি হরফ রয়েছে । এই উনিশটি হরফের বিশেষত্ব হচ্ছে, রাতের বেলা২৪ ঘন্টা। নামাজের জন্য নির্দিষ্ট ৫ ঘন্টা ৫ ওয়াক্ত। তাছাড়া বাকি ১৯ ঘন্টা তাদের জীবিকা নির্বাহ,চলাফেরা,কাজকর্ম,খাবার ও ঘুমানোর জন্য কাটাই।

আরো পড়ুন - কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন

আল্লাহ তাআলা 'বিসমিল্লাহকে' নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন সারাদিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে এবাদত করার জন্য। বিসমিল্লাহ শব্দটি পাঠ করার পর যেন মানুষ সারাদিন বিপদ -আপদ থেকে বাঁচতে পারে। সুতরাং বিসমিল্লাহ পাঠ করা উচিত প্রত্যেক ঘন্টায় ১৯ বার। কোরআন ও হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, যখন কোন ব্যক্তি বিসমিল্লাহ শব্দটি বারবার পাঠ করে তখন তার মর্যাদাইয় গাছপালা ও পাহাড়-পর্বত নাড়াচাড়া বা কম্পন হতে থাকে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কোরআন ও আল হাদীসে বলে গেছেন, যদি কোন ব্যক্তি জাহান্নামের ফেরেশতাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে সে যেন প্রতিদিন ১৯ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করে। ১৯ বার বিসমিল্লাহ বলার কারনে জাহান্নামের ১৯ জন ফেরেশতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন - হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন

হযরত জাবের (রাঃ) কোরআন ও আহলে হাদিসে বলে গেছেন, যখন হযরত আদম (রাঃ) এর উপর যখন বিসমিল্লাহ শব্দটি অবতীর্ণ হয়। তখন মেঘ গর্জন করা থামিয়ে দেয়,সমুদ্রের স্রোত বন্ধ হয়ে যায়,বায়ু প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়,কোন হিংস্র প্রাণী যেমন বাঘ,সিংহ তাদের হিংসা ভুলে যায়,শয়তানকে আকাশ থেকে তারিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।

বিসমিল্লাহ শব্দটি কোরআন ও আল হাদিসের একটি আয়াত। হাদিস শরীফে বিসমিল্লাহ শব্দটিকে আল- কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলা হয়েছে। বিসমিল্লাহ শব্দটির ফজিলত লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।

আরো পড়ুন - প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন

কোরআন শরীফে হযরত আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, মানুষ যখন কোন শুভ কাজ করতে যায় প্রসাব -পায়খানার জন্য যায়,নিজ স্ত্রীর সাথে মিলন করতে যাই,কোন মানুষ ভালো কাজের জন্য রওনা দেয় ইত্যাদি তখন শয়তান তাকে বাধা গ্রস্থ করে। যখন কোন ব্যক্তি বিসমিল্লাহ শব্দটি পাঠ করে। তখন স্বামী হোক বা স্ত্রী মেয়ে হোক বা ছেলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।একটি আবরণ পড়ে যায় শয়তানের মধ্যে।

এতে কোন ব্যক্তি শরীর কোন শয়তান দেখতে পাই না। দেখলেও কোন ক্ষতি করতে পারে না। হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ পাঠ করে ওই দিন কি আনন্দ ওই ব্যক্তির জন্য। যে ব্যক্তি প্রতিদিন বিসমিল্লাহ পাঠ করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহর রহমতের মধ্যে সে ব্যক্তি ডুবে থাকবে। মানে জান্নাতে সে অনেক রহমত বা নেয়ামত পাবে।

'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' এর কিছু ফজিলতের বর্ণনা করছি।  কায়সার নামে এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর হযরত ওমর বিন খাত্তাবের কাছে একখানা চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়েছিল তার অনেক মাথা ব্যথা সে কোন চিকিৎসা নিলে তার মাথাব্যথা খুব জলদি ভালো হয়ে উঠবে। তখন হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) বিসমিল্লাহ পাঠ করতে বলেন। বিসমিল্লাহ পাঠ করার পাশাপাশি একটি কালো টুপি সেলাই করে তার কাছে পাঠালেন পরিধান করার জন্য।

যখন কায়সার নামে ওই ব্যক্তি টুপিটা মাথায় পড়লেন সাথে সাথেই মাথাব্যথা ভালো হয়ে গেল। এখানে আশ্চর্য বিষয় এই যে যখনই টুপিটা মাথায় থাকে তখন মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যায় । আর যখন টুপিটা মাথা থেকে খোলা হয় সাথে সাথে মাথা ব্যথা শুরু হয়। পরে কায়সার নামে ঐ ব্যক্তি এ রহস্য খুঁজতে থাকে পরে সে জানতে পারে টুপিতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' লেখা ছিল। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম লেখাটির বরকতের কারণে তার মাথাব্যথা ভালো হয়ে যেত।

মাঝতীরে মোতাবেরা নামক কিতাব থেকে বর্ণিত, শাফি নামক এক ব্যক্তি যৌবন কালে মদ খেতে যাচ্ছিল। মদ খেতে যাওয়ার সময় রাস্তাতে একটি কাগজের টুকরো পেল। কাগজে টুকরো লেখা ছিল বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। লেখাটি সেই ব্যক্তি হাতে পেয়ে পরিষ্কার করে চোখে মুখে লাগালো ও চুম্বন করতে লাগলো । এবং সে পবিত্র স্থানে দেখে দিল। এরপর সে মদের দোকানে গেল মদ খেতে তারপরে সে মদ খেয়ে সেখানে বেহুশ হয়ে পড়ে থাকলো।

আর এদিকে হযরত শেখ হাসান (রাঃ) একটি খবর এলো মদের দোকানে শাফি নামে ব্যক্তি কে যেন আল্লাহর রহমতে ছায়ায় রাখা হয়। এই সুসংবাদ জানাবার জন্য হযরত শেখ হাসান (রাঃ) মদের দোকানে চলে গেলেন। মদের দোকানে হযরত শেখ হাসান (রাঃ) এর আগমন দেখে বললেন আপনি এখানে। আপনার সাথে তাদের কিসের সম্পর্ক খারাপ লোকদের সাথে। জবাবে হযরত শেখ হাসান (রাঃ) বললেন আমার নিজের কোন প্রয়োজনে আমি মদের দোকানে এখানে আসিনি।

তিনি বললেন সাফি নামে ওই ব্যক্তিকে নিতে আমাকে আল্লাহ পাঠিয়েছে। শফি এখন কোথায় । মদের দোকানে গিয়ে সাফিকে নেশাগ্রস্থ পেল শেখ হাসান। তখন শাফিকে শেখ হাসান জাগ্রত করলো। জাগ্রত কথার সাথে সাথে এক গায়েবী আজ বল সাফি ।আমার নামে সম্মান করেছে তুমি । আমি তোমাকে তোমার সমস্ত গুনাহ থেকে মাফ করে দিচ্ছি এবং নিজের সুগন্ধ দিয়ে তোমার শরীরকে সুগন্ধ যুক্ত করে দিচ্ছি। সুবাহানাল্লাহ।

খাবার আগে 'বিসমিল্লাহ'বলতে ভুলে গেলে কি পড়তে হয় জানুন - 

খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে পরে  কি বলতে হয় তাও বলা হয়েছে কোরান ও আল হাদিসে। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর নামটি স্মরণ করো যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করবে। আর যদি খাওয়াতে শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও। তাহলে বলবে 'বিসমিল্লাহি আওয়াল্লাহু ওআখিরাহ' এর অর্থ হল খাবারের শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নামটি স্মরণ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪