ক্যালসিয়াম-ডি ট্যাবলেট খাবার উপকারিতা- ক্যালসিয়াম-ডি ট্যাবলেট খাবার নিয়ম
আপনি কি ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগছেন কোন খাবার খেলে বা কোন ট্যাবলেট খেলে ক্যালসিয়াম থেকে মুক্তি পাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ক্যালসিয়ামের অভাব, ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া প্রয়োজন , ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কোন ট্যাবলেট খাওয়া প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের সমস্ত খুঁটিনাটি নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্র - ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবার উপকারিতা - ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবার নিয়ম ও সময়
- ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাবার উপকারিতা
- ট্যাবলেট ব্যতীত আর কোন খাবার ক্যালসিয়াম পাবেন -
- ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবার নিয়ম ও সময়
- বাংলাদেশের কত ধরনের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পাওয়া যায় -
ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাবার উপকারিতা -
আমাদের শরীরের হার ও দাঁত শক্ত করে ক্যালসিয়াম নামের খনির উপাদানটি। তার সাথে
ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে স্নায়ু ও মাংসপেশির কাজও করে। ক্যালসিয়ামের
অভাবে অস্টিওপোলাসিস ও হার ক্ষয়ের মত রোগ দেখা দিতে পারে। হার ক্ষয় রোগ
সাধারণত প্রবীণদের হয়ে থাকে। হরমোন জনিত কোন সমস্যা দেখা দিলে নবীন ও নারীদের
এরও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্যালসিয়ামের অভাবে অনেক সময় পুরুষেরও এ রোগ দেখা
দিতে পারে।
আরো পড়ুন - ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও ড্রাগন ফলের গুনাগুন
অল্প বয়সে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য না খেলে পরবর্তীতে সময়ে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু রোগ আছে যে রোগে ছেলে মেয়ে ও ভাই আক্রান্ত হতে পারে। যেমন বাত জনিত সমস্যা। শরীরের যে অভাব গুলো কারনে আমাদের আমাদের নানান রোগে ভুগতে হয় যেমন,খনিজ বা মিনারেল,ক্যালসিয়াম,ভিটামিন ডি।
আপনার শরীরে , হাতে ব্যথা , পায়ে ব্যথা , মাথায় ব্যথা , জয়েন্টে ব্যথা , দ্রুত শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে , হলে আমরা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করি। এটা আসলে ঠিক নয় কারণ যে কোন বিষয় ট্যাবলেট খেলে এতে দেখা যেতে পারে নানান সমস্যা।
আর দৈনন্দিন জীবনে অনেক খাবার খায় যে খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে যেমন,দুধ ,দই,পানি, সয়াবি,কাজুবাদাম,কাঠবাদাম,সামুদ্রিক মাছ,কালো জিরা,সবুজ শাকসবজি,কচু পাতা,সরিষা শাক,পুদিনা পাতা,পুদিনা পাতা,সজনে পাতা,কুমিরের বীজ,সূর্যমুখীর বীজ,চিংড়ি মাছ,শুটকি মাছ,ইত্যাদি। অনেকে আছে পুষ্টিকর খাওয়ার পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এর জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন - বেদানা খাবার উপকারিতা ও বেদনার গুনাগুন
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ক্যালসিয়ামের কোন উপকার পাবেন না। আবার আপনি যদি অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কিডনিতে পাথর হতে পারে। আপনার যদি অতীতে শরীরে কিডনি পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া একদমই উচিত নাই। কারণ এতে সে জায়গা থেকে আবার কিডনিতে পাথর হতে পারে।
তার জন্য অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া উচিত নয়। পৃথিবীর যে কোন ট্যাবলেট খাবার আগে একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বলে আমি মনে করি।১০০০- ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৬৫০ - ৭৫০ ইউনিট ভিটামিন ডি প্রয়োজন একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের। একজন ষাট ঊর্ধ নারী-পুরুষের দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন।
মা গর্ভবতী ও শিশুকে দুধ পান করায় তার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন তার থেকেও বেশি।আমাদের প্রতিদিন ভিটামিন ডি খাবার খাওয়া প্রয়োজন কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়ামকে শোষণ করে।
ট্যাবলেট ব্যতীত আর কোন খাবার ক্যালসিয়াম পাবেন -
মাছ মাছ,মাংস,ডিম,দুধ,কলা,বিস্কুট,সবুজ শাক,লাল শাক,পালং শাক,কচু শাক,কাজ বাদাম, কাঠবাদাম সয়াবিন,সজনে পাতা,সাজনি শাক,পুদিনা পাতা,সরিষার শাক,সূর্যমুখীর বীজ,ইলিশ মাছ,পাঙ্গাস মাছ,রুই মাছ,কাতল মাছ,পুঁটি মাছ,বোয়াল মাছ,সিলভার মাছ,টেম্পু মাছ,চিংড়ি মাছ,চ্যাং মাছ,ডারকিন মাছ,মসুরের ডাল,বুটের ডাল,কালায়ের ডাল ইত্যাদি এসব কিছুতেই প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
আরো পড়ুন - কাজু বাদামের উপকারিতা ও কাজু বাদামের গুনাগুন
কোন খাবারে কত শতাংশ ক্যালসিয়াম রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো -
দুধে রয়েছে ৯০০ মিলিগ্রাম, পাঙ্গাস মাছ৪৫০ রয়েছে মিলিগ্রাম , সামুদ্রিক মাসে রয়েছে ৩৫৬ মিলিগ্রাম ,সাজনা পাতায় রয়েছে ৪৫০ মিলিগ্রাম, টেংরা মাছের রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম, সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ৪০০ মিলিগ্রাম। এক গ্লাস কমলার রসে রয়েছে ২৫০ মিলিগ্রাম।
ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবার নিয়ম ও সময় -
আপনার যদি ক্যালসিয়ামের অভাব হয় আপনি যেকোনো সময়ই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে পারেন কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা শরীরের হাত- ব্যথা ,মাথা ব্যথা দেখলেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেয়ে ফেলি। এটা একদমই ঠিক নয় দেখা যেতে পারে আমাদের শরীরের নানান সমস্যা। তাই আমাদেরকে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবার আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশের কত ধরনের ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পাওয়া যায় -
বাংলাদেশে ৯৬ শতাংশ মানুষেরই ক্যালসিয়ামের ঘাটতে দেখা দেয়। কিন্তু তারা জানে না কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে তাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দিবে। চলুন বন্ধুরা কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম জানা যাক -
- CALBO JR
- CALBO - 10
- CALBORAL - D200
- CALBO - 500GM
- CALBORAL - DX400
- CALBO JUNIOR
- G - CALBO - 200
- CALBOPLEX - D3
- CALBO - D VITA
- CALBO - C
- CORALCAL - D
- VOCAL - D
- VOCAL - DX
- BIOCAL - D
- EUROCAL - D
- OSTOCAL - D
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url