ড্রাগন ফল খাবার উপকারিতা - ড্রাগন ফল খাবার নিয়ম
পোস্ট সূচিপত্রঃড্রাগন ফল খাবার উপকারিতা - ড্রাগন ফলের গুনাগুন
- ড্রাগন ফল খাবার উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
- কোন জেলাতে সবচেয়ে বেশি ড্রাগন উৎপাদিত হয়
- ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
ড্রাগন ফল খাবার উপকারিতাঃ
ড্রাগন ফলটি বাংলাদেশের খুবই পরিচিত একটি ফল এবং ড্রাগন ফলটি অনেক সুস্বাদু ও নানান গুনে ভরা। বাংলাদেশে রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা। কিন্তু ড্রাগন ফলটি প্রচুর চাহিদা থাকার কারণেও এটা সব জেলাতে চাষ করা সম্ভব না। হাজারো পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে ড্রাগন ফলে যা আমরা অনেকেই জানিনা। ড্রাগনফলের উপকারিতা ও গুনাগুন এর কথা বলে শেষ করা যাবে না। ড্রাগন ফল এর জন্যই এত দামি।
আরো পড়ুনঃ ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
হাই্লসেরিয়াম নামক ক্রিমবিং এমন একটি ফল যা ক্যাকটাসে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে ড্রাগন ফল।ড্রাগন ফল সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে, লাল রং এবং সবুজ রং এর। আমেরিকাতে ও অস্ট্রেলিয়াতে এর বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। উনিশ শতকের দিকে আমেরিকানরা ড্রাগন ফলটিকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিয়ে আসে। ড্রাগন ফলটি সাধারণত অনেক মিষ্টি, সুস্বাদু ও রসালো হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি,কার্বোহাইডেড,ভিটামিন,ফাইবার সাদা তাছাড়া আরো নানান পুষ্টিগণে ভরা।
ড্রাগন ফল টি আপনার শরীরের নানানা রোগ থেকে মুক্তি দেয়।তাদের জন্য আপনার প্রতিদিন একটি করে ড্রাগন ফল খাবার উচিত। যাতে করে আপনি পৃথিবীর সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি করে ফ্রি রেডিক্যাল যা এমন একটি অনু যেটা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না এটা শরীরের তাপ প্রবাহ রোগের কারণ হয়ে ওঠে। ড্রাগন ফলে এমন একটি ফল যেটা এ রোগকে মোকাবেলা ও প্রতিরোধ করে।
ড্রাগন ফলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,খনিজ
লবণ্,পানি্,ম্যাগনেসিয়াম,ওমেগা নাইন ও ওমেগা থ্রি।,ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে কেরোটিনা এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীর ও ত্বককে
সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। চলুন বন্ধুরা ড্রাগন ফল খাবার কিছু উপকারিতা
জেনে আসি -
হার্টের উপকার করেঃহার্টের সমস্যা ভালো করতে ড্রাগন ফল অনেক বড় ভূমিকা রাখে। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ,ওমেগা নাইন ও ফ্যাটিক এসিড রয়েছে ড্রাগন ফলে। ড্রাগন ফলে যেসব উপাদান রয়েছে সেসব উপাদান গুলো হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে ড্রাগন ফল খায় তাহলে আপনার শরীর আর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে।কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া লাগবে না বলে আমি মনে করি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃসাত গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে একটি ড্রাগন ফলে যেটা দৈনিক ফাইবারের পরিমাণের চার ভাগের এক ভাগ। ড্রাগন ফল শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ড্রাগন ফল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে আর যদি আপনি এই ফলটি খান তাহলে খুবই দ্রুত উপকার পাবেন বলে আমি মনে করি।
হাড় ক্ষয় রোধ করেঃহাড় ক্ষয় রোধ করতে ড্রাগন ফল এর ভূমিকা অপরিসীম।ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে পৃথিবীর সকল ফলের চেয়েও ড্রাগন ফলে। ড্রাগন ফলে আপনার হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ড্রাগন ফল খেলে শরীরের সমস্ত রোগ দুর্বল হয়ে পড়ে শরীরের কোন ক্ষতি করতে পারে না। একটি ড্রাগন ফলে ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা আপনার শরীর ও হার ক্ষয় রোধ করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
রক্ত চলাচল ঠিক রাখেঃপৃথিবীর সমস্ত মানুষের আয়তনের ঘাটতি দেখা যায়। আমাদের পৃথিবীতে নারীদের মধ্যে সবচাইতে আয়তনের ঘাট দেখা দেয়। আমরা প্রতিদিন মাছ-মাংস ,ডিম ,দুধ ,কাজুবাদাম ,কাঠবাদাম ,ডাল জাতীয় খাবার ,আপেল ,কমলা ,জাতীয় খাবার খেয়ে আমরা সাধারণত আয়রনের ঘাটতি পূরণ করি। আর ড্রাগন ফল এসব খাবারের মধ্যে একটা।২০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে রয়েছে২.৫ মিলিগ্রাম আয়রন যা ২০ শতাংশের বেশি।
শরীরে হিমোগ্লোবি ন উৎপাদনের জন্য আয়রন খুবই প্রয়োজন একটি উপাদান। যা আপনার শরীরে অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনি পৃথিবীর সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তাছাড়া কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া লাগবে না।
আরো পড়ুনঃ চকলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
চুল পড়া রোধ করেঃচুলের যত্নে ড্রাগন ফলের ভূমিকা অপরিসীম। শরীরে আয়তনের ঘাটতি দেখা দিলে মাথা থেকে চুল উঠে যায়। আর এই আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমানোর আগে একটি ড্রাগন ফল খাবার উচিত। এতে আপনার আয়তনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে ও চুল উঠা রোধ করবে।
ভাইরাসের সমস্যাঃভাইরাসের সমস্যা দূর করতে ড্রাগন ফল অনেক বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করে।আমরা পৃথিবীর যেকোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকে। ইনিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু ড্রাগন ফলে ইমিউন সিস্টেম এর কার্য ক্ষমতা বাড়াতে অনেক ভালো সহক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে ড্রাগন ফল খান তাহলে। করোনা ভাইরাস এর মত কোন ভাইরাস আপনার শরীর কি স্পর্শ করতে পারবে না।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ঃ
আমেরিকাতে গবেষণা দেখা গেছে - ড্রাগন ফল খেলে শরীরের নানা রোগ ভালো করে যেমন - সর্দি -কাশি ,গলা ব্যথা ,ক্যান্সার ,কলেরা ,জন্ডিস্ট ,টাই ফাট ,শরীরের , , শরীরে আরো গোপন সমস্যা দূর করে।চলুন বন্ধুরা প্রতি ২০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জেনে নিন -
আরো পড়ুনঃ বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- জল রয়েছে ১৬০-১৮০ গ্রাম
- খাদ্যশক্তি রয়েছে ৭০-১২০ কিলো ক্যালরি
- প্রোটিন রয়েছে ১.৫ গ্রাম
- ফ্যাট রয়েছে ১.৫৬ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ২০ গ্রাম
- ফাইবার রয়েছে ১.৬৫ গ্রাম
- আয়রন রয়েছে ১.৮৬ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস রয়েছে ৭০ মিলিগ্রাম
- কেরোটিন রয়েছে ০.৫০ গ্রাম
- ভিটামিন এ রয়েছে ০.২৬ গ্রাম
- থায়ামিন রয়েছে ০.৮৫ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি রয়েছে ৮ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ১২০ মিলিগ্রাম
কোন জেলাতে সবচেয়ে বেশি ড্রাগন উৎপাদিত হয়ঃ
ড্রাগন ফল শরীর থেকে নানান রোগ ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল যেমন মানে ,গুনে ও সুস্বাদুতে ভরপুর তেমনি ড্রাগন ফল চাষ করা অনেক ব্যয়বহুল। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ জেলাতে ড্রাগন ফল চাষ করা হয়। প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করা হয় এবং ৫৬০ টন ড্রাগন ফল উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে যে ড্রাগন গুলো চাষ করা হয় সেগুলো হল -
- ইয়েলো ড্রাগন
- ভেলটেড ড্রাগন
- পিঙ্ক ড্রাগন
- বারি ড্রাগন -১
- বারি ড্রাগন-২
- বাউ ড্রাগন-১
- বাউ ড্রাগন-২
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজিঃ
ড্রাগন ফল খুবই সুস্বাদু একটি ফল। এই ফলটি চাষ করা খুবই কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। তার জন্য এটি বাংলাদেশ সব অঞ্চলে চাষ করা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে অনেক দেশে ড্রাগন ফল চাষ করে সেগুলো হল-অস্ট্রেলিয়া ,আমেরিকা ,ভারত ,ইজরায়েল ,থাইল্যান্ড ,ভিয়েতনাম ইতালি ,পাকিস্তান,আফগানিস্তান। ড্রাগন ফলটি বাংলাদেশের প্রায়ই ২০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url