গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না হওয়ার জন্য করনীয় - গ্যাস সিলিন্ডার কেন বিস্ফোরণ হয়
আপনি যদি জানতে চান গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কেন হয় এবং আপনি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নিয়ে খুবই চিন্তিত । তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী হয়ে থাকেন।তাহলে এই পোস্টটি আপনি পড়তে পারেন এই পোস্টটি আপনার পড়া শেষ হতে না হতেই। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বলে আমি মনে করি
পোস্ট সূচিপত্র - গ্যাস সিলিন্ডার কেন বিস্ফোরণ হয় - গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না হওয়ার জন্য করনীয়
- গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম
- গ্যাস সিলিন্ডার কেন বিস্ফোরণ হয়
- গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না হওয়ার জন্য করনীয়
- গ্যাস সিলিন্ডারের দাম জেনে নিন
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম -
পুরো পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই রান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার
করে থাকেন। বর্তমান সময়ের মানুষেরা রান্নার কাজে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার
ছাড়া অন্য কিছুই ভাবতে পারেনা। আমরা যারা গ্রাম অঞ্চলে বাস করি বা এমন
জায়গায় বাস করি যেখানে এখন পর্যন্ত গ্যাসের লাইন যায় নাই। সেই সব গ্রাম
অঞ্চলে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার ছাড়া কোন উপায় নেই। তাছাড়া অনেক মানুষ
আছে যাদের বাসায় ব্যাক - আপ হিসেবে এক্সটা গ্যাস সিলিন্ডার রাখে বাসায়
রাখে।
আরো পড়ুন - কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
যাদের বাসায় গ্যাসের লাইন আছে তাদেরকে সব সময় এক্সট্রা গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে হয় কারণ অনেক সময় গ্যাসের লাইনে সমস্যা দেখা দেয়। যদি কোন সময় গ্যাসের লাইনে সমস্যা হয় দেখা দেয় ।সেই এক্সট্রা গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে যেন পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়। গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কারণে তিন দিন দুর্ঘটনাও বেড়ে চলেছে।
আমরা গ্যাস সিলিন্ডার কে সাধারণত গ্যাস সিলিন্ডার নামে চিনি। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডার কে প্রতিষ্ঠানিক ভাবে এলপিজি গ্যাস হিসেবে পরিচিত। এলপিজির পুরনো রূপ হলো লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস। যেটা আমাদের বাসায়,রেস্টুরেন্ট,হোটেল,মোটেলে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া যানবাহনেও এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস,পাইভেট কার,গার্মেন্টস সেক্টরে,ট্রেনে,জাহাজে, ট্রলারে ইত্যাদি।
আরো পড়ুন - বদহজম বা পেট ফাঁপা ভালো করে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
গ্যাস সিলিন্ডার কেন বিস্ফোরণ হয় -
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার জন্য শুধু আমরা মানুষেরাই দায়ী। কারন আমরা সচেতন না। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে গ্যাসের লাইন আছে। কিন্তু তারা গ্যাসের লাইন থাকা সত্ত্বেও গ্যাস সিলিন্ডার বাসায় রাখে। আসলে তারা গ্যাস সিলিন্ডার সম্পর্কে এতটা সচেতন নয় এর জন্য বিস্ফোরণ টা ঘটে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম আছে। তেমনি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম-শৃঙ্খলা আছে। এইসব নিয়ম- শৃঙ্খলা মেনে চললে আশা করি নানান ধরনের দুর্ঘটন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না হওয়ার জন্য করনীয় -
আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে থাকেন। তা ছাড়া আপনার বাড়িতে যদি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে থাকে বা আপনি গ্যাস সিলিন্ডারে আশেপাশে যদি বসে থাকেন সবসময়। তাহলে নিচের টিপসগুলি আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ না হওয়ার জন্য করনীয় নিচে উল্লেখ করা হলো -
গ্যাস সিলিন্ডারে আশেপাশে গন্ধ - পৃথিবীর প্রত্যেকটা জিনিসই একপ্রকার গন্ধ থাকে। তেমনি গ্যাসের একপ্রকার গন্ধ আছে। এই গন্ধটা পাওয়া গেলে বোঝা যায় গ্যাস সিলিন্ডার লিক করেছে। তৎক্ষণাৎ আপনি গ্যাস সিলিন্ডার গ্যাস বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আরো পড়ুন - প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানেন
গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেস খোঁজার সময় সচেতন - আমাদের সব সময় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ খোঁজার সময় সচেতন থাকতে হবে। আমাদের বাসায় যদি গ্যাস সিলিন্ডারে হয় তাহলে আমরা মোমবাতি নিয়ে সে গ্যাসের লিকেজের স্থানটা খুজতে যায়। এটাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল। এতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ সবসময় বন্ধ রাখতে হবে - আমরা সব সময় একটি ভুল করে থাকি গ্যাস সিলিন্ডার কেনার পর গ্যাসের মুখটা খুলে ফেলে রেখে দিয়ে থাকি। গ্যাস সিলিন্ডার সব সময় সমতল জমিতে রাখতে হবে এবং সব সময় মুখটি ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে রাখতে হবে। এভাবে আপনি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বাতাস চলাচলের রাস্তা রাখতে হবে - আমাদের আর একটু সবচেয়ে বড় ভুল হলো গ্যাস সিলিন্ডারের ধোঁয়া বাইরে বেরোনোর রাস্তা থাকে না। অনেক সময় দেখা দেয় আমাদের বাসার গ্যাস সিলিন্ডারটা লিকেজ হয়েছে কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারি না। এখানে যদি বাতাস চলাচলের রাস্তা থাকে তাহলে সিলিন্ডারে লিকেজের সমস্ত গ্যাসটুকু বাইরে বেরিয়ে যাবে কোন বিস্ফোরণ হবে না।
গ্যাস চালু করার আগে ম্যাচ কাঠি মেরে চেক করা - আমরা সব সময় একটা বড় ভুল করে থাকি যেটা হল গ্যাস সিলিন্ডার চালু করার আগেই ম্যাচের বা গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন জালাই। অনেক সময় দেখা যায় গ্যাস সিলিন্ডার যে কোন ভাবে লিকেজ করে থাকে। এ সময় যদি আমরা ম্যাচের কাঠি বা গ্যাস লাইট জ্বালায় তৎক্ষণা বিস্ফোরণ ঘটবে এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। তার জন্য আমাদের সব সময় ম্যাচ বা গ্যাস লাইট জ্বালানোর পূর্বে গ্যাস সিলিন্ডার চেক করে নেয়া উচিত।
গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ - অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাড়িতে থাকা ইঁদুর,বিড়াল,কাঠবিড়ালি ,তেলাপোকা গ্যাস সিলিন্ডাদের পাইপ লিকেজ বা ফুটো করে ফেলে। এ সময় দেখা দেয় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা বা বিস্ফোরণ। এ সময়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিভিন্ন কানেকশন ও রাবারের টিউব ভালো করে চেক করা নেয়া উচিত। আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে কিছুদিন পরপর গ্যাস সিলিন্ডারে পাইপ বদলাতে পারেন।
গ্যাস সিলিন্ডারের দাম জেনে নিন ২০২১-২০৩২ সাল পর্যন্ত -
২০২১ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১১৫৫ টাকা । ২০২২সালে দাম ছিল
১২২০ টাকা। ২০২৩ সালে গ্যাস সিলিন্ডার দাম ১৪৫০ টাকা। ২০২৪ সালের
গ্যাস সিলিন্ডার দাম হবে ১৫২০ টাকা।২০২৫ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম
হবে ১৫৮০ টাকা। ২০২৬ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ১৬০০ টাকা।
২০২৭ সালের গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ১৬২০ টাকা। ২০২৮ সালে গ্যাস
সিলিন্ডারের দাম হবে ১৬৫০ টাকা।
২০২৯ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ১৬৭০ টাকা। ২০৩০ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ১৭০০ টাকা। ২০৩১ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ১৭৩০ টাকা । ২০৩২ সালে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হবে ১৭৭০ টাকা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url