OrdinaryITPostAd

বেদানা খাবার উপকারিতা - বেদানা খাবার নিয়ম

আপনি যদি বেদানা খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমি বলছি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে বেদানা খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


পোস্ট সূচিপত্রঃবেদানা খাবার উপকারিতা - বেদানার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত 

  • বেদানা খাওয়ার উপকারিতা
  • বেদানার পুষ্টিগুণ
  • বেদানা কোন জেলাতে বেশি উৎপাদন করা হয়

বেদানা খাবার উপকারিতাঃ

অভিজাত মহলে একটা সময় দারুন কদর ছিল বেদনার। ৯০ দশকের সময় বেদানা ফলটা অনেকটাই সহজলভ্য ছিল। যেকোন অনুষ্ঠানে বেদানা জায়গা করে নিত। বাংলাদেশের পায়ে সব দোকানেই বেদানা ফলটি পাওয়া যায়। আমেরিকাতে গবেষণায় দেখা গেছে-বেদানা ফলটি শুধু দেখতে সুন্দর নয় তাতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। বেদানা ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ। যাদের শরীরের রক্তশূন্যতা আছে তারা প্রতিদিন একটি করে বেদানা খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও ড্রাগন ফলের গুনাগুন সম্পর্কে জানুন

বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড। যা শরীর থেকে সমস্ত রোগ দূর করে দেয়। তাই আমাদের প্রতিদিন একটি করে বেদানা খাওয়া উচিত। যাতে আমাদের সকল রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক বেদানা খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় -

সর্দি ও কাশি ভালো করতেঃসর্দি ও কাশি ভালো করতে বেদানা অনেক বড় ভূমিকা রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেখা দেয় নানান রোগ। আর এই রোগের মধ্যে একটা হল সর্দি ও কাশি। আর এই সর্দি ও কাশি ভালো করতে বেদানা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনি যখন ঠান্ডায় একদম কাবু হয়ে যাবেন তাহলে আপনার শরীরকে গরম করতে একটি বেদানা খেতে পারেন।এতে আপনার শরীর খুবই দ্রুত গরম হয়ে উঠবে।

ত্বকের সুরক্ষায়ঃত্বকের সমস্যা দূর করতে বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। বেদানা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে করে তুলে নমনীয়। বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ত্বকের নতুন কোষ উপাদানকারী উপাদান। আপনার যদি ত্বকের কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি প্রতিদিন একটি করে বেদানা খেতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বকের যাবতীয় সমস্যা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। কোন ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে না।

হাড় ক্ষয়ের জন্যঃহাড় ক্ষয় রোধ করতে বেদানা অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড ও পটাশিয়াম যা হাড় ক্ষয় এর স্থানে গিয়ে হাড় ক্ষয় রোধ করে। আপনার যদি শরীরের হাড় ক্ষয় দেখা দেয়। তাহলে আপনি প্রতিদিন একটি করে বেদানা খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের হাড় ক্ষয় সারা জীবনের জন্য দূর হয়ে যাবে।। আপনার কোন ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়া লাগবেনা।

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতেঃচোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে বেদানা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। রোদে কিংবা বরুনে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ সৃষ্টি হয়। আর এই কালো দাগ দূর করতে বেদানা অনেক বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি চোখের নিচের কালো দাগ সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি টানা তিন মাস বেদানা খেতে পারেন। তাহলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। আপনাকে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা লাগবে না এবং আপনাকে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া লাগবে না।

হৃদপিন্ডের সমস্যা দূর করতেঃহৃদপিন্ডের সমস্যা দূর করতে বেদানা অনেক ভালো ভূমিকা পালন করে। বেদানার রস খুবই দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেয় হৃদপিন্ডের মাংসপেশীতে। তাছাড়া আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় তাহলে এটাও খুবই দ্রুত রক্তচাপের সমস্যা খুবই দ্রুত সেরে ফেলতে পারে বেদানা। আমেরিকার গবেষণায় দেখা গেছে - আপনি যদি টানা তিন মাস বেদানা রস খান তাহলে হৃদপিন্ডের সমস্যা থেকে সারা জীবনের জন্য মুক্তি পেয়ে যাবেন। আপনার কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া লাগবে না

আরো পড়ুনঃ ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

শরীরের শক্তি জোগাতেঃশরীরের শক্তি জোগাতে বেদানার রস অনেক বড় ভূমিকা রাখে। আমরা প্রতিদিন কোন না কোন কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ি আর এই ক্লান্ত দূর করতে বেদানার রস আমাদের শরীরে অনেক বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয় তাহলে একটি বেদানা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর থেকে সমস্ত ক্লান্ত দূরে হয়ে যাবে। কোন এনার্জি ড্রিংক বা অ্যালকোহল খাওয়া লাগবেনা।

 বেদানার পুষ্টিগুণঃ

বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ গুনাগুন রয়েছে বেদানার মধ্যে। বেদানা দামি হওয়ার কারণে এটা মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালের বাইরে। আপনি যদি নিয়মিত বেদানা খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যাবে। প্রতি ২০০ গ্রামে বেদানাতে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে -

আরো পড়ুনঃ বেল খাওয়ার উপকারিতা ও বেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

  • শর্করা রয়েছে ৩৬.৫ গ্রাম
  • গ্লুকোজ রয়েছে ২৬.৫ গ্রাম
  • আমিষ রয়েছে ২.৮ গ্রাম
  • চর্বি রয়েছে  ২.৪ গ্রাম
  • কোলেস্টল রয়েছে ০.২৫ গ্রাম
  • আস রয়েছে ৮ গ্রাম
  • ভিটামিন বি রয়েছে ৭২ মাইক্রগ্রাম
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে ১.৫৬ মিলিগ্রাম
  • থাইমিন রয়েছে ১.৫৬  মিলিগ্রাম
  • পাইরেটক্সিন রয়েছে ১.৫৬ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন সি রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম রয়েছে ৪৫৬ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম 
  • আয়রন রয়েছে ১.৫৬ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস রয়েছে ২৪ মিলিগ্রাম 
  • জিংক রয়েছে  ১.৬৫ মিলিগ্রাম

বেদানা কোন জেলাতে বেশি উৎপাদন করা হয়ঃ

বাংলাদেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষ করা হচ্ছে। এই বেদানাতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ওষুধিগুণ। বাংলাদেশে প্রায় সব জেলাতেই বেদানা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুকূল ও মাটি উর্বরতার কারণে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে বেদানা উৎপাদন করা সম্ভব। বাংলাদেশের,যেসব,জেলাতে,বেদানা,চাষ,করারদিনাজপুর,কুষ্টিয়া,বগুড়া,চট্টগ্রাম,কুমিল্লা,বাগেরহাট,খুলনা ও সাতক্ষীরাতে প্রচুর পরিমাণে বেদানা চাষ করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪