বিদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম জেনে নিন
আপনি কি বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে আপনি কিভাবে বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানো তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র - বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানুন
- বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- বিদেশ থেকে কোন কোন ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়
- ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন
- বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম -
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ বিদেশে থাকে
না বিদেশে থেকে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু তারা বিদেশ থেকে কিভাবে খুব
সহজে বাংলাদেশে টাকা পাঠাবে তা জানে না আজকে আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা
করব। বিদেশ থেকে কিভাবে সহজ উপায় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় তার
সম্পর্কে আমরা আজকে জানবো।
আরো পড়ুন - বিদেশ থেকে অনলাইনে মাধ্যমে টাকা আনা সহজ উপায়
বর্তমান সময়ে যারা বিদেশে থাকেন বিদেশে কাজ করেন তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেক মাসে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। তারা প্রত্যেক মাসে খুব সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে চাই। বিদেশ থেকে কিভাবে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইদের তা জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ তাছাড়া তারা খুবই সহজে ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা বা রেমিটেন্স পাঠাতে পারবে না।বিদেশ থেকে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে টাকা পাঠানো সহজ ও সিম্পল।
২০২০ সালে একটি তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৭০ টি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়া আছে বাংলাদেশের ২ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই। প্রত্যেক প্রবাসী কর্মী বা রেমিটেন্স যোদ্ধা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত আছে। বাংলাদেশের সেই প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা ভাই দিনের পর দিন মাথা ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে এবং সেই অর্থ বাংলাদেশে পাঠায়। প্রবাসী ভাই বা রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের থেকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন - তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায় কি খেলে শরীর সবসময় ঠান্ডা থাকবে
পুরনো প্রবাসী ভাইরা বা রেমিটেন্স যোদ্ধা যারা বিদেশে অবস্থান করছে তারা অনেকে জানে বিদেশ থেকে কিভাবে বাংলাদেশে অর্থ ট্রান্সফার করতে হয়। কিন্তু যেসব রেমিটেন্স যোদ্ধা বা প্রবাসী ভাই নতুন প্রবাসে গেছে তারা কিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা পাঠাবে সে সম্পর্কে জানে না। তাই আমরা আজকে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যখন বিদেশের মাটিতে কাজ করে প্রথম মাসের অর্থ হাতে পাবেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে সে টাকা দেশে পাঠাতে চাইবেন। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতিটাও অতটা ভালো নয়।
আপনি বিদেশ থেকে বাংলাদেশের অর্থ পাঠাবেন কারণ আপনার মা বাবা যেন সুখে থাকে বা শান্তিতে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের অবস্থা একসময় খুবই খারাপ হলেও। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অবস্থা খুবই ভালো বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের অর্থনীতি অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে বেশিরভাগ প্রবাসী বা রেমিটেন্স যোদ্ধা বিদেশে অবস্থান করে শুধু কাজের জন্য টাকা ইনকাম করার জন্য।
প্রত্যেক রেমিটেন্স যোদ্ধা বা প্রবাসী ভাই মাতার ঘাম পায়ে ফেলে ইনকাম করা টাকা কিভাবে দেশের মাটিতে থাকা বা বাবার হাতে কিভাবে তুলে দেবে সব সময় শুধু সেই চিন্তা করে। বর্তমান সময়ে অনেক জটিল এবং কিছু সহজ পদ্ধতি রয়েছে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের মাটিতে টাকা পাঠানোর। কিন্তু আজকে আমি আপনাদেরকে কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়, কিভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায় তার সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।
আরো পড়ুন - জমজমের পানিতে উপকারিতা
আপনি যদি প্রবাসী হন ও বিদেশে থাকেন এবং দেশের টাকা পাঠাতে চান তাহলে। আপনার বাংলাদেশে যে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা আছে। বিদেশে যে কোন একটি ব্যাংকের মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে চলে যান। এরপর মানে এক্সচেঞ্জ করার জন্য একটি ফর্ম দিবে। সে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
আসলে সেই ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন যেমন আপনি কোন দেশের নাগরিক,আপনার পাসপোর্ট বা ভিসার পারমিট,আপনি বাংলাদেশের যে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন সে ব্যাংকের নাম ও নাম্বার ,ব্যাংকের ব্রাঞ্চ,ব্যাংকের লোকেশন এই সমস্ত তথ্য দিতে হবে। অনেক ব্যাং কি আছে যারা আপনাকে একটি গোপন পিন নাম্বার দিয়ে থাকেন। আপনি বাংলাদেশের যে ব্যক্তির কাছে টাকা পাঠাবেন সে ব্যক্তিকে পিন দিয়ে বলবেন এই পিনটা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে এবং কাউকে যেন না দেয়।
তাছাড়া সব ব্যাংক পিন নাও দিতে পারে। প্রবাসী ভাই বা রেমিটেন্স যোদ্ধারা ঠিক খুব সহজে এই নিয়মে অল্প সময়ের মধ্যে বিদেশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারেন।
বিদেশ থেকে কোন কোন ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায় -
ডাচ বাংলা ব্যাংক - বিদেশ থেকে আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান তাহলে বিদেশের মাটিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্সি অফিসে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে। টাকা জমা দিয়ে আসতে পারেন এতে আপনার ব্যাংকে জলদি টাকা চলে আসবে। বিদেশের মাটি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড সবার জন্য অন্যতম। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের কাছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড একটি জনপ্রিয় প্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
কারণ বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর সেবা অনেক ভালো। আপনি বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠান তাহলে আপনাকে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে এক পারসেন্ট বেশি দিয়ে থাকে অন্য সব ব্যাংক থেকে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন -
বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আপনার প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড,জন্ম নিবন্ধন কার্ড,মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট,মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড,প্রত্যয়ন পত্র, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট,পাসপোর্ট সাইজ ৪ কপি ছবি,মোবাইল নাম্বার ,হোল্ডিং নাম্বার,তাছাড়া আরো তথ্য নেওয়া হবে।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা -
প্রথম কথা হল আপনি যখন বিদেশের মাটিতে বিদেশের ব্যাংকের নিয়ম কানুন মেনে
বাংলাদেশে ব্যাংকে টাকাটা পাঠাবেন তখন আপনার টাকাটা নিরাপদে থাকবে। আপনি কোন
প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যখন বিদেশ থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন। তখন
বিদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে যেকোনো সময় টাকা
পাঠাতে পারবেন।
দ্বিতীয় কথা হল বিদেশে থাকার কোন রেমিটেন্স যোদ্ধা বা প্রবাসী ভাই বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের টাকা পাঠাবেন তখন তাকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আপনাকে ২ থেকে ৩ শতাংশ পার্সেন্ট পর্যন্ত বোনাস দিয়ে দিবেন। একটি হিসাব করে দেখা যায় রেমিটেন যোদ্ধা বা প্রবাসী ভাইরা যদি বিদেশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১ লক্ষ টাকা পাঠায় তাহলে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ শতাংশ টাকা ধরে আপনি সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।
এর থেকে একটা প্রবাসী ভাইয়েরা আর কি উপকার হতে পারে । এই টাকা যদি কোন প্রবাসী বা রেমিটেন্স যোদ্ধা ভাই বাংলাদেশে পাঠায় তাহলে বাংলাদেশের টাকা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url