কাঠ বাদাম খাবার উপকারিতা - কাঠবাদাম খাবার নিয়ম ও সময়
আপনি যদি কাঠবাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে কাঠ বাদাম খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সচিপত্র - কাঠ বাদাম খাবার উপকারিতা - কাঠবাদাম খাবার নিয়ম ও সময়
- কাঠ বাদামের পরিচিতি
- কাজুবাদাম চাষের পদ্ধতি
- কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
- কাঠ বাদাম খাবার উপকারিতা
- কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ
কাঠ বাদামের পরিচিতি -
পৃথিবীতে এমন মানুষ খুবই কমই আছে যারা কাঠবাদাম এর নাম শুনেনি । কাঠ বাদাম মূলত এশিয়া অঞ্চলের ফসল। প্রাচীন মানুষের মুখ থেকে শোনা যায় কাঠ বাদাম হচ্ছে ইরান উৎপত্তিস্থল। বাদাম এর ইংরেজি নাম হচ্ছে Almond আর কাঠ বাদামের ইংরেজি নাম হচ্ছে Indian Almond।
কাঠবাদাম গাছের রসালো ফলের ভেতর ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ কয়েকটি
বিষ থাকে। যেটা সম্পূর্ণ পেকে গেলে ফল থেকে বের করে সরাসরি ভেজে খাওয়া হয়। আর
এই সকল বীজগুলো কাঠবাদাম নামে পরিচিত। কাঠ বাদামের ইংরেজি নাম হলো - Prunus
Dulcis.। কাঠ বাদাম ইরান উৎপত্তিস্থল ও এশিয়া অঞ্চলের ফল হলেও
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে বাণিজ্যিকভাবে কাজ বাদাম চাষ করা হয়।
কাঠ বাদাম চাষের পদ্ধতি -
একটা সময় ছিল কাজ বাদাম শুধু ইউরোপ ও আমেরিকা দেশগুলোতে চাষ করা হতে। বাংলাদেশের মাটি কাঠ বাদাম চাষ করার জন্য উপযুক্ত মাটি।বর্তমানে অনেক উদ্যোক্তা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কাঠ বাদাম চাষ করে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি ফসলের যেমন চাষ করার পদ্ধতি রয়েছে তেমনি কাঠ বাদাম চাষ পদ্ধতি কিছু পদ্ধতি রয়েছে।বেলে দোআস মাটি কাঠ বাদাম এর চাষের জন্য খুবই উপযোগী।জমিকে ভালো করে চাষ করে নিতে হবে বাদাম চাষ এর পূর্বে।
আগাছা গাছ তুলে ফেলতে হবে জমি প্রস্তুতির হিসেবে। কাঠ বাদাম চাষ করার জন্য ফসলের জমি কুপিয়ে বা হাত দিয়ে মাটি ঝুড়ঝুড়ি করে নিতে হবে। তারপরে ঝুড়ঝুড়ি মাটিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। ফসলে জমিতে সার হিসেবে কম্পেপাস্ট সার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।কম্পেপাস্ট সার জমিতে প্রয়োগ করার পর কোদাল দিয়ে মাটি ও সার নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। মাটি প্রস্তুত হয়ে গেলে কাঠ বাদামের চারা বুনতে হবে।
সার ছিটানো হয়ে গেলে সাথে সাথেই পানি দিতে হবে।তারপরে ১০ থেকে ১২ দিন পরপর জমিতে পানি দিতে হবে। কাঠ বাদামের চারা রোপন করা হয়ে গেলে। জমির চারিদিকে বেড়া দিয়ে ঘিরে দিতে হবে যাতে গরু,ছাগল,ভেড়া,মোষ যেন কাঠ বাদামের চারা খেয়ে না ফেলে ইত্যাদি।
কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম -
বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় কাঠবাদাম। তারমধ্যে রয়েছে পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া অন্যতম। আমাদের সমাজে সবচেয়ে এটাই প্রচলিত। রাতে ঘুমানোর আগে ৪ থেকে ৫ টা কাঠ বাদাম একটি পাত্রে ভিজাতে দিন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই কাঠবাদাম গুলো খেয়ে নিন। এতে করে সারাদিনের শরীরের হারানো শক্তি আবার ফিরে পাবেন এবং পেটে ক্ষুদা লাগবে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কাঠবাদাম সাধারণত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সেটা খাওয়ার জন্য খুবই উপকার হবে। তাছাড়া খুবই সহজে ছাড়িয়ে নেয়া যায় ভেজানো কাঠ বাদামের খোসা। তাছাড়া বিশেষজ্ঞ কথা মনে করেন ভেজানো কাঠবাদাম ৮ থেকে ৯ টির বেশি খাওয়া উচিত নয় এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কাঠবাদাম খোসা সহ না খোসা ছাড়া খেতে হবে এটা নিয়ে নানান মানুষ নানান কথা বলে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে কাঠবাদাম খোসা সহ খেলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ কাঠবাদামের খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেলন যা শরীর গঠনে সাহায্য করে। আপনি যদি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেতে চান তাহলে খোসা খাবেন না। কারণ হজমেও পুষ্টিতে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাঠ বাদাম খাবার উপকারিতা -
বয়সের ছাপ কমায় - বয়সের ছাপ কমাতে ও চেহারা কে উজ্জ্বল রাখতে কাঠবাদাম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কাঠ বাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিশন। যেটা আপনার ত্বক কে আরো উজ্জ্বল ও আরো নমনীয় করে তুলবে। আপনি যদি নিয়মিত কাঠবাদাম খেতে থাকেন তাহলে আপনার বয়স কমে যাবে। কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন।
আপনি যদি প্রতিদিন সকাল ঘুম থেকে উঠে ৩ থেকে ৪ টা কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে । আপনার আপনার চেহারা হবে উজ্জ্বল , কোমল , ও নমনীয়।কোন কিরিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে না। বলে আমি মনে করি।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে - কাঠ বাদামের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী গুণ হচ্ছে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি খুবই দক্ষ আমাদের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে। কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও পটাশিয়াম। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যাদের স্মৃতি শক্তি দুর্বল তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনি যদি স্মৃতিশক্তি ভালো করতে চান তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঠ বাদাম খেতে পারেন এতে আপনার স্মৃতিশক্তি খুবই ভালো হবে।
গর্ভাবস্থা কালীন - গর্ভাবস্থায় কালীন মা ও শিশুকে শক্তি জগতে কাঠ বাদাম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সময় নিচে বাস করে। তারা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের মাথায় একটা চিন্তায় ঘুরপাক খায়। যে আমার সন্তান ঠিকমতো পুষ্টি পাবে কিনা। এটা নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই মা ও শিশুকে পুষ্টি দেওয়ার জন্য কাঠ বাদামইয় যথেষ্ট।
আপনি যদি পেগনেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছটি ভেজানো কাঠবাদাম খেতে পারেন। এতে মা ও শিশু দুজনেই পরিমাণ মতো পুষ্টি পাবে এবং একটি পরিমাপ্ত শিশু জন্মগ্রহণ করবে।
কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ -
২৫০ গ্রাম কাঠবাদামে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে নিচে তা বলা হলো -
- ভিটামিন বি রয়েছে ১.৫৬ মিলিগ্রাম
- মেগানিস রয়েছে ৪.২৫ মিলিগ্রাম
- কপার রয়েছে ২.৫৬ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম রয়েছে ৮৯৫ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ৩৮৫ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩৭৫ মিলিগ্রাম
- আয়রন রয়েছে ৪.৬২ গ্রাম
- ফাইবার রয়েছে ১৫.৫৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৩৮.৬৫ গ্রাম
- প্রোটিন রয়েছে ৩৬.৫৪ মিলিগ্রাম
- ফ্যাট রয়েছে ৭৮ গ্রাম
- এনার্জি রয়েছে ৮৭৬ কিলোগ্রাম
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url