শুকনো কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় - শুকনো কাশি হলে করণীয়
আপনি যদি কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায় বা ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে কাশি ভালো করার উপায় বা ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বলে আমি মনে করি।
পোস্ট সূচিপত্র - কাশি হলে করণীয় - কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায়
- কাশি কেন হয়
- কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায়
- কাশি ভালো করার কিছু ট্যাবলেট
কাশি কেন হয় -
আসলে কাশি বিভিন্ন কারণেই হতে পারে।জ্বর ও সর্দি,ফুসফুসে ইনফেকশন,যক্ষা,নিউমোনিয়া তাছাড়া আরও বিভিন্ন কারণেও কাশি হতে পারে। এ সময় দীর্ঘদিন হতে থাকে এবং বুকে ব্যথা হয়। তাছাড়া দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট সহ আমাদের শরীরের আরো নানান সমস্যা। আপনি যদি এরকম সমস্যায় পড়েন তাহলে সাথে সাথেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়া কাশি হয় আরো নানান কারণে। সাইনাস রোগের কারণে নাক প্রদাহের কারণে অনেক সময় আমাদের কাশি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন - হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
তাছাড়া বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই সিগারেট - বিড়ি খেয়ে থাকে । এই সিগারেট বিড়ি খাওয়ার জন্য কাশি হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি মনে করে আমি কাশি ভালো করতে চাই ওষুধ খেয়ে। সেই ব্যক্তি যদি সিগারেট- বিড়ি না ছাড়ে তাহলে তার কাশি কোনদিনই ভালো হবে না। যখন কোন ব্যক্তি সিগারেট বা তামাক খায়। তখন সে তামাক ক্রমাগতই শ্বাসকে আক্রমণ করে বা ধ্বংস করে বলেই কাশি হয়ে থাকে।
কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায় -
জ্বর - সর্দি ও কাশি শীতকালীন একটি কমন অসুখ। আমাদের শরীর থেকে সর্দি -জ্বর তাড়াতাড়ি ভালো হলেও সহজে কাশি ভালো হতে চায় না। কাশির মতো সমস্যায় ভোগায় আমাদের দীর্ঘদিন। দেখা যায় ১০ থেকে ১২ দিন হয়ে যায় তাও কাশি ভালো হয় না। তাছাড়া অনেক মানুষ আছে যাদের এজমা, এলার্জি, শুষ্ক আবহাওয়া,ধূমপানের কারণে ও কাশি ভালো হয় না।
আরো পড়ুন - প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাবার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন
আমাদের কাশি হলে আমরা একটা ভুল করে থাকি যেটা হল হুট করে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ফেলি। আগে বলে রাখা ভালো কাশি হলে সাথে সাথেই এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ঘরোয়া অনেক পদ্ধতি আছে যেটা অবলম্বন করলে খুবই জলদি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চলুন বন্ধুরা জেনে আসি কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায় -
মধু -কাশি ভালো করতে মধুর ভূমিকা অপরিসীম। প্রাচীন কাল থেকেই কাশি ভালো করতে মধু ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরাও কাশি ভালো করতে সবাইকে মধু ব্যবহার করতে বলেন। কখনো কখনো দেখা যায় মধু ওষুধের চেয়ে তো ভালো কাজ করে। মধু সর্দি -কাশি জ্বর মাথা ব্যথা যায় হোক না কেন মধু খাওয়া উচিত সবসময়। যেসব শিশুদের বয়স এক বছরের নিচে তাদেরকে মধু খাওয়া উচিত নয়।
আপনার যদি গলায় কাশি বা গলা ব্যাথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এক গ্লাস পানিতে ২ থেকে৩ চা চামচ মধু নিয়ে তার সাথে ২ চা চামচ লেবুর রস তার সাথে একটুকর আদা নিয়ে সেটা ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। খেয়ে নিলে আশা করা যায় ৩০ থেকে৩৫ মিনিটের মধ্যে গলা ব্যথা হালকা হালকা কাশি খুব জলদি ভালো হয়ে যাবে। কোন পরামর্শ নেওয়া লাগবে না।
আরো পড়ুন - ছারপোকা বা তেলাপোকা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
বাসক পাতা - বাসক পাতাটা ভালো করে পানিতে সিদ্ধ করে নিন। তারপর একটা পরিষ্কার তেনা দিয়ে সেই পানিটাকে পরিষ্কার করে নিন। কুসুম গরম পানি খেলে সাথে সাথেই কাশি কমে যাবে। আপনার যদি কাশি থাকে তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও সন্ধ্যায় এক গ্লাস বাসত পাতা সিদ্ধ করা পানি খেয়ে নিন। দেখবেন খুবই জলদি ভালো হয়ে যাবে গলার কাশি।
এভাবে সবটাই ৩ থেকে ৪ দিন পানি বাসক পাতা খেতে হবে সিদ্ধ করা পানি
খেতে হবে। আশা করা যায় এতেই খুশখুশি কাশি ভালো হয়ে যাবে কোন ডাক্তারের পরামর্শ
নেয়া লাগবেনা ।বলে আমি মনে করি।
তুলসী পাতা - গলার কাশি ভালো করতে যুগ যুগ ধরেই তুলসী পাতা ব্যবহার করে আসছে মানুষ। আপনার যদি কাশি বা গলা ব্যথা হয় তাহলে আপনি তুলসী পাতা চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন খেতে পারেন। তাছাড়া আপনার যদি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে অস্বস্তি বোধ হয় তাহলে আপনি কিছু তুলসী পাতা বেটে নিয়ে তার সাথে ২ থেকে ৩ চা চামচ মধু নিয়ে তাদের সাথে সামান্য পরিমাণে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
আশা করা যায় এতেই খুবই জলদি আপনার গলার কাশি খুব ভালো হয়ে যাবে। তুলসী পাতা খেলে গলার কাশি ভালো হয়ে যাবে আমি নিজেও তার প্রমাণ। আমার যদি গলার কাশি হয় তাহলে আমি কিছু তুলসী পাতা তুলে সুন্দর করে ধুয়ে খেয়ে নি এতে আমার গলার কাশি খুবই দ্রুত ভালো হয়ে যায়। আর আপনার যদি গলায় ব্যথা বা গলায় কাশি হয় তাহলে এভাবে আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। এতে কোন সাইড ইফেক্ট নেই।
আদা - আদা গলার কাশি ভালো করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি গলায় কাশি হয় তাহলে একটা আদা নিয়ে সেটাকে টুকরো টুকরো করে তাদের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেলে কাশি ভালো করতে খুব কার্যকরী। বিশেষজ্ঞরা সবাইকে এভাবেই আদা খেতে বলে গলার কাশি ভালো করতে। তাছাড়া আপনি তাদের সাথেও আদা মিস করে খেতে পারেন এতেও। গলা কাশি ভালো হয়ে যাবে।
দুধ -আমরা সবাই জানি শরীরকে মজবুত করতে,শরীর হাড় ক্ষয় রোধ করতে,চেহারা উজ্জ্বল করতে দুধ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। ঠিক তেমনি কাশি ও গলা ব্যথা দূর করতেও দুধ অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এই গ্লাসদের সাথে যদি এক চা চামচ হলুদ মিশে খেতে পারেন তাহলে খুবই জলদি গলা ব্যথা বা কাশি দূর হয়ে যাবে।
লবঙ্গ - লবঙ্গ রান্নার কাজে ব্যবহার করা হলেও কাশি অনেক ভালো করতে এটা অনেক ভালো কাজ করে। আপনার যদি কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি একটি লবঙ্গ নিয়ে মুখের মধ্যে নিয়ে সারাটিদিন সে লবঙ্গটি কিছু চাওয়াতে থাকুন। লবঙ্গ মধ্যে থাকা রস আপনার গলার কাশি বা গলা ব্যথা ভালো করে দিবে।
কাশি ভালো করার কিছু ট্যাবলেট -
- DEXPOTEN PLUS
- TUSPEL
- OCOF
- TOFEN
- AMBROX - 35
- AMBROX -75SR
- AMBOLYT
- TUSCA PLUS
- BUKOF
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url