OrdinaryITPostAd

বসে পানি পান করা নবীজি (সাঃ) এর সুন্নত - বসে পানি পান করার ফজিলত

আপনি যদি বসে পানি পান করার ফজিলত , উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে ।এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোষ্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে বসে পানি পান করার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।



পোস্ট সূচিপত্র -  বসে পানি পান করার ফজিলত সম্পর্কে জানুন 

  • বসে পানি খাবার ফজিলত
  • বসে পানি খাবার উপকারিতা 
  • বসে পানি পান করা নবীজি (সা:) এর কিছু সুন্নত
  • বসে পানি খাবার দোয়া

বসে পানি খাবার ফজিলত - 

মহান আল্লাহ তায়ালার অপূর্ব নেয়ামত হচ্ছে পানি।পানি ছাড়া মানুষের একদিন বেঁচে থাকা অসম্ভব। সবাই বলে থাকে ,পানির অপর নাম জীবন। তাই জীবন যাপনের জন্য পানির বিকল্প নেই। পুরো বিশ্বে পশুপাখিও মানুষকে বাঁচানোর জন্য আল্লাহ পানি সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, 'আমি প্রাণবান সবকিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে, তবুও কি তারা ঈমান আনবে না। (সূরা আম্বিয়া আয়াতবঃ ৩০)।

আরো পড়ুন - খাবার আগে বিসমিল্লাহ বলার ফজিলত সম্পর্কে জানুন

মহান আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন ,'আর তোমরা যে পানি পান করো,সে পানি সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করছো। পানি কি তোমরা মেঘ থেকে নামিয়ে আনো, না আমি তা বর্ষণ করি। আমি চাইলে পানিকে লবণাক্ত করে দিতে পারি। তবুও কেন তোমরা আমার উপর ঈমান আনো না, আমার ইবাদত করো না। (সূরা ওয়াকেয়া:৬৮৭০)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ও ফলমূল তৈরি করার জন্য পরিমাণ মতো পানি সৃষ্টি করেছেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের চাহিদা মিটানোর জন্য ও মানুষের নানা প্রয়োজনে -অপ্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য শুধু পানি সৃষ্টি করে নাই। মহান আল্লাহ তায়ালা পানিকে সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন কাজের জন্য যেমন,গোসল করা,খাওয়া-দাওয়া প্রসাদ -পায়খানার ব্যবহার,ওযু করার জন্য,পশুপাখি ও জীবজন্তু খাওয়ার জন্য,ফসল ফলানোর জন্য,মাছ চাষের জন্য,রান্না করার জন্য যেন এই পৃথিবীর সবকিছু মানুষ পশু -পাখি ও গাছপালা সবাই আল্লাহর ইবাদত করে ও আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে।

বসে পানি পান করার উপকারিতা - 

পাইলসের সমস্যা থেকে - আপনি যদি বসে পানি পান করেন তাহলে আপনি পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন ।পাইলস হবার অন্যতম কারণ দাঁড়িয়ে পানি পান করা। প্রথম পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই দাঁড়িয়ে পানি পান করে। এর জন্য পুরো পৃথিবীর ২৫ শতাংশ মানুষ পাইলস রোগে ভুগছেন। আমরা যদিপাইলস থেকে মুক্তি পেতে চাই। এর জন্য আমাদের সবসময়ই বসে পানি পান করা উচিত।

আরো পড়ুন - গ্যাস সিলিন্ডার কেন বিস্ফোরিত হয় তা সম্পর্কে জানান

কাজে বরকত -বসে পানি পান করা আল্লাহ ও নবীর সুন্নত। কোন ব্যক্তি যদি বসে পানি পান করে তাহলে আল্লাহ অনেক খুশি হয়। আর আল্লাহ যদি খুশি হয় কোন ব্যক্তিকে উপর সে ব্যক্তির যে কোন কাজে আল্লাহ নিজে বরকত বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহ বরকত বাড়ি দেয়ার জন্য সেই ব্যক্তি প্রত্যেকটা কাজে সফল হয়।

বসে পানি পান করা নবীজি (সা:) এর কিছু সুন্নত - 

হযরত আনাস (রা:) বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দাঁড়িয়ে পানি পান করা থেকে নিষেধ করেছেন, (মুসলিম হাদিস নং - ৩৭৭২ ও ও তিরজিমি হাদিস নং- ১৮০০)। এই হাদিস থেকে অনেক আলেম ও কেরামগণ বলেছেন। দাঁড়িয়ে পানি পান করা অসম্মানজনক। আসলে যে কাজটি জায়েজ হওয়া সত্বেও  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদেরকে সেই কাজ করতেছি নিষেধ করেছেন কেন। হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর সাধারণ অভ্যাস হলোও ।

 হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদেরকে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন কারণ এটা অসম্মান জন্য। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কাজটি নিষেধ করেছেন কারণ মানুষ যেন জানতে পারে কাজটি জায়েজ হলো সবার পছন্দীয় নয়। এতে গুনাহ না হলেও মানুষের ব্যক্তিত্ব চলে যায়। দাঁড়িয়ে পানি পান করার ক্ষেত্রে  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের সকলকে নিষেধ করেছেন। কিন্তু কাবাসা (রা:) হাদিস থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দাঁড়িয়ে পানি পান করত।

আরো পড়ুন - কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন

তার সাথে আরেকটি হাদিস হযরত নাফাল (রা:) বলে গেছেন, একদিন হযরত আলী(রা:) কুফার করতে এক জায়গায় গিয়েছিলেন এবং সেই স্থানে দাঁড়িয়ে পানি পান করেছিলেন, তারপর তিনি বলেছিলেন, আর তোমরা আমাকে আজ যেভাবে পানি পান করতে দেখলে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ঠিক একই ভাবে পানি পান করতেন।( বুখারী, হাদিস নং৫১৮৪ ,মুসনাদ হাদিস নং ১১৯৯ )।

 হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রয়োজন ছাড়া কিংবা শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য ছাড়া কখনো দাঁড়িয়ে পানি পান করেননি, সব সময় বসে পানি পান করেছেন।তার জন্য আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের উচিত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পথ অনুসারে বসে পানি পান করা। বসে পানি পান করা আমলটি নিজে পালন করবেন ও প্রতিবাদে সকল সদস্য যেমন মা -বাবা ,ভাই- বোন ,ছেলে-মেয়ে সকলকে আমলটি করতে বলবেন।

এই কাজটি খুবই কঠিন বিষয় নয় ।শুধু একটু মনের জোর প্রয়োজন। বসে পানি পান করা বিনা মেহনত বা পরিশ্রমে অধিক পরিমাণে সওয়াব বা আল্লার রহমত পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। তাই আমাদের সকলকে এই অভ্যাসটা করা উচিত এবং পরিবারে প্রত্যেক মানুষদের কে  অভ্যাসটা গড়ে তোলা উচিত।

বসে পানি খাবার দোয়া - 

আল্লাহুম্মা বারিক আলা ফিহি ওয়া জিদনা মিতু ।(আল হাদিস আয়াত নং -১২০)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪