স্ক্যাবিস রোগ কেন হয় - স্ক্যাবিস রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
আপনি যদি স্ক্যাবিস রোগ কেন হয়,স্ক্যাবিস রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়,স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট,স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট ও ক্রিম এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে স্ক্যাবিস রোগ কেন হয়,স্ক্যাবিস রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়,স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট,স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট ও ক্রিম এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- স্ক্যাবিস রোগ কেন হয়
- স্ক্যাবিস রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
- স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট
- স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট ও ক্রিম এর নাম
স্ক্যাবিস রোগ কেন হয় -
স্ক্যাবিস হচ্ছে এক প্রকারে চর্মজনিত রোগ যেটা sarcoptes scabei নামে পরিচিত।স্ক্যাবিস এক প্রকারের জীবাণু দ্বারা আবদ্ধ থাকে।স্ক্যাবিস এর প্রধান কাজ বা লক্ষণ হচ্ছে গুটিগুটি রাস ও চুলকানি তৈরি করা। স্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে এ রোগ প্রবেশ করে। তাছাড়া কোন রুগীর শার্ট, গেঞ্জি,প্যান্ট,লুঙ্গি,আন্ডার প্যান্ট,জাংগিয়া,লেপ বালিশ,খেতা,চাদর,গামছা,কোলবালিশ ইত্যাদি।
আরো পড়ুন - চর্মরোগের ঔষধ - চর্মরোগ ভালো করার ঘরোয়া উপায়
স্ক্যাবিস রোগে বিশেষ করে শিশুরায় ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আপনি যদি প্রথমবার স্ক্যাবিস রোগে আক্রান্ত হন তাহলে ৩ থেকে সপ্তার মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। দ্বিতীয় সংক্রমণের লক্ষণগুলো শুরু হতে পারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এই উপসর্গ গুলি শরীরের যে স্থানে দেখা দেয় ,হাত,হাতের তালু , ত্বক,মাথা,গলা,পিঠে,পেটে,কোমরে,পাছায়,পায়ে,দুই আঙ্গুলের মাঝে,পায়ের পাতায় ইত্যাদি।
এছাড়া আপনার শরীরের আরো বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। যদি আপনার শরীরে স্ক্যাবিস রোগ দেখা দেয় তাহলে রাতের বেলা চুলকানিটা আরো বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া আপনার শরীরে যদি কোন স্থানে ,হাত,হাতের তালু , ত্বক,মাথা,গলা,পিঠে,পেটে,কোমরে,পাছায়,পায়ে,দুই আঙ্গুলের মাঝে,পায়ের পাতায় গুটি গুটি দেখা দেয় এবং প্রচন্ড চুলকায় এবং চুলকানির তীব্রতা যদি আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরেস্ক্যাবিস রোগ কি হয়েছে।
স্ক্যাবিস রোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়-
স্ক্যাবিস রোগির চিকিৎসা শুরু থেকেই ব্যবহার্য সব ধরনের রুগীর শার্ট, গেঞ্জি,প্যান্ট,লুঙ্গি,আন্ডার প্যান্ট,জাংগিয়া,লেপ বালিশ,খেতা,চাদর,গামছা,কোলবালিশ ইত্যাদি সাবান,সোডা,বেকিং পাউডার,দিয়ে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। একই পরিবারের যদি আরো কোন সদস্যর যদি এই রোগ হয় তাহলে তাকে ঐ চিকিৎসা অধীনে রাখতে হবে। জামা কাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করে শুধু চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে না।
আরো পড়ুন - তেলাপোকা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
চলুন বন্ধুরা স্ক্যাবিস রোগের ভালো করার কিছু ঘরোয়া জেনে নি -
রসুন - রসনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া এজেন্ট যা স্ক্যাবিস রোগ ভালো করতে সাহায্য করে। রসুন সত্যি ভাবেই আমাদের মনকে অপসারণ করতে পারি। রসুন আমাদের শরীরের রোগ ও সংক্রমণ থেকে আমাদের থেকে মুক্তি দেয়। প্রতিদিন রসুন খাবার ফলে আমাদের শরীর থেকেস্ক্যাবিস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
আপনার শরীরের যদি কোন প্রকারের চর্মরোগ বাস্ক্যাবিস রোগ দেখা দেয় তাহলে আপনার উচিত প্রতিদিন তিন থেকে চা কোয়া রসুন খাওয়া। রসনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীর থেকে সমস্ত লোক দূর করে দেয়।
আরো পড়ুন - তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায়
আবার আপনার শরীরের যদি কোন স্থানে যেমন দেখা দেয় ,হাত,হাতের তালু , অন্ডকোষে, লিঙ্গের চারপাশে ত্বক,মাথা,গলা,পিঠে,পেটে,কোমরে,পাছায়,পায়ে,দুই আঙ্গুলের মাঝে,পায়ের পাতায় ইত্যাদিস্ক্যাবিস রোগে রোগ দেখা দেয় তাহলে। চার থেকে পাঁচ কুয়া রসুন নিয়ে সেটা পাটাতে ভালো করে বেটে আপনার শরীরে যে যে স্থানে চর্মরোগ হয়েছে সে সেই স্থানে লাগিয়ে দিন লাগানোর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে যদি আপনার শরীরে সপ্তাহে 5 থেকে 6 দিন রসুন বাটা দিতে পারেন তাহলে আশা করা যায়। আপনার শরীর থেকে সারা জীবনের জন্য স্ক্যাবিস রোগে চর্মরোগ ভালো হয়ে যাবে।
নিমপাতা - স্ক্যাবিস রোগ নিরাময়ে বিশেষজ্ঞরা নিমপাতা ব্যবহার করতে বলেন। কারণ নিমপাতাতে যে উপাদান গুলো রয়েছে সেটা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। আপনার শরীরের যদি স্ক্যাবিস রোগ দেখা দেয় তাহলে আপনি কিছু নিমপাতা বেটে স্ক্যাবিস রোগ স্থানে লাগাতে পারেন। তারপরে নিম পাতাটা শুকানো পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। তারপরে পানি দিয়ে সেই স্থানটি ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করলে আশা করা যায় আপনার শরীরে সমস্ত ভালো হয়ে যাবে।
আবার কিছু নিমপাতা নিয়ে হালকা কুসুম পানিতে গরম পড়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেও আপনার শরীর থেকে চর্মরোগ বাস্ক্যাবিস রোগ ভালো হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। আর এভাবে নিমপাতা দিয়ে সপ্তাহে ৭ দিন গোসল করতে হবে। তাহলে তফাৎটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কোন চর্ম বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়া লাগবেনা।
আবার আপনি কিছু নিম পাতা নিয়ে সেটা গরম করে নিন। এর পরে নিম সিদ্ধ করা পানিটা ঠান্ডা হওয়ার পর প্রতিদিন সকালে বিকাল এক গ্লাস করে পান করুন। কিভাবে সপ্তাহে ছয় থেকে সাত দিন পান করতে থাকলে আশা করা যায় আপনার শরীর থেকে চর্মরোগ বাস্ক্যাবিস রোগ ভালো হয়ে যাবে।
এলোভেরা -এলোভেরার জেলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিব্যাকটেরিয়া। যেটা ত্বকের সমস্যা ও ত্বক পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের মাইট অপসারণ করতে সাহায্য করে। আপনার শরীরের যদি চর্মরোগ বাস্ক্যাবিস রোগ দেখা দেয় তাহলে সে ক্ষতস্থানে এলোভেরা জেলি লাগান। অ্যালোভেরা আপনার ক্ষতস্থানে সমস্ত রোগ জীবাণুগুলোকে মেরে আপনার ক্ষতস্থান সেরে তুলবে।
আর এভাবে আপনাকে সপ্তাহে ছয় থেকে সাত দিন ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি সেটা ছয় থেকে সাত দিন ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে তফাৎটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
স্ক্যাবিস রোগের ট্যাবলেট ও ক্রিম এর নাম -
- FLUCLOX
- FLUBEX
- FLUX
- ANTIHIST
- HISTACIN
- EBASTINE
- EBATRINE
- EBATROL
- TIRLOR
- CITIN
- ATRIZIN
- PROCET
- LORIX
- SCABO
- SCABEX
- ALATROL
- LORIX PLUS
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url