হাইপো থাইরয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়- হাইপো থাইরয়েড হলে ওষুধ খাবার নিয়ম
আপনি যদি হাইপো থাইরয়েড কেন হয়,হাইপো থাইরয়েড এর লক্ষণ,হাইপো থাইরয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় ,হাইপো থাইরয়েড হলে ওষুধ খাবার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি পড়া সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে । হাইপো থাইরয়েড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র - হাইপো থাইরয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়- হাইপো থাইরয়েড হলে ওষুধ খাবার নিয়ম
- হাইপো থাইরয়েড এর লক্ষণ
- হাইপো থাইরয়েড থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
- হাইপো থাইরয়েড হলে ওষুধ খাবার নিয়ম
হাইপো থাইরয়েড এর লক্ষণ -
- ঘুম আগে তুলনি অনেক কম হবে
- হঠাৎ ওজন কমে যেতে পারে
- মাথার মধ্যে সব সময় এক প্রকার মানসিক চাপ থাকে
- আপনার শরীর সবসময় কাঁপতে থাকে
- আপনার শরীরের সব সময় তাপমাত্রা কম বেশি হতে পারে
- চোখে কম বা ঝাপসা দেখা
- চোখ সবসময় জ্বলতে থাকে
- পরিশ্রম না করা সত্ত্বেও শরীরে ক্লান্ত চলে আসে
- মহিলাদের ঘন ঘন মাসিক হতে থাকে
খাবার সময় তাড়াহুড়ো না করা - হাইপো থাইরয়েড এর আরেকটি কারণ হচ্ছে খাবার সময় তারা হল কথা। খাবার সময় সব সময় মনোযোগ দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া উচিত এতে মনের মধ্যে সংযোগ গড়ে উঠবে। তাই খাবার সময় কখনো তাড়াহুড়া করতে নেই। আপনাকে সব সময় সময় নিয়ে খাবারটি ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে।
আরো পড়ুন - হাইপো থাইরয়েড হলে করণীয়
আপনার শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করতে থাইরয়েড গ্রন্থি বিশেষ ভূমিকা পালন
করে। এর জন্য সময় নিয়ে খাবারটি চিবিয়ে খাওয়া উচিত । খাবার চিবিয়ে খেলে হজম
শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেল - হাইপো থাইরয়েড ভালো করতে নারকেল তেল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটিক অ্যাসিড হাইপোথাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপনার শরীরে যদি হাইপোথাইড হয়ে থাকে তাহলে আপনার সবার প্রথমে সামান্য পরিমাণে তেল নিয়ে সেটা গরম পরে নিতে হবে এবং হাইপো থাইরয়েডের স্থানে মালিশ করতে হবে এভাবে মাসে ৩০ দিন ব্যবহার করলে আশা করা যায় ভালো হয়ে যাবে।
তার সাথে নারিকেল তেল মানব শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এবং মানব শরীরে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে নারকেল তেল অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তাদের জন্য আমাদের প্রতিদিন নারিকেল তেল খাওয়া উচিত এবং আমাদের শরীরে ব্যবহার করা উচিত।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার - হাইপোথাইরয়েড ভালো করতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অনেক ভালো কাজ করে। শরীরের হরমোন উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপেল সিডার ভিনেগার অনেক উপকারী। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে। তাছাড়া মানব শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। কোন ব্যক্তির শরীরের যদি কোন প্রকার বিষক্রিয়া থাকে তাহলে সেটা খুবই দ্রুত সময়ে ভালো করতে পারে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার।
আরো পড়ুন - কাশি হলে করনীয় - কাশি ভালো করার ঘরোয়া উপায়
আদা ও চা - আপনার শরীরে যদি হাইপো থাইরয়েড হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ আদা চা মিশিয়ে খেতে পারেন। আদা - চা মিশ্রিত পানি হাইপো থাইরয়েড ভালো করতে অনেক ভালো সাহায্য করে। আদায় বিভিন্ন ধরনের ম্যাগনেসিয়াম ,পটাশিয়াম ও খনিজ পদার্থ থাকে যেটা হাইপোথাইরয়েড থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আদা -চা হাইপো থাইরয়েড নিরাময়ে অনেক ভালো কার্যকরী সমাধান। ছোট,বড়,শিশু ,মহিলা ,বৃদ্ধ জারি হাইপো থাইরয়েড সে যেন প্রতিদিন সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ আদা ও চা মিশ্রিত পানি খেতে পারেন এতে আপনার হাইপো থাইরয়েড সারা জীবনের জন্য নির্মূল হয়ে যাবে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া লাগবেনা।
ভিটামিন - বি জাতীয় খাবার খাওয়া -
হাইপো থাইরয়েড সমস্যা নিরাময় করতে ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই
সহায়ক ভূমিকা পালন করে। হাইপো থাইরয়েড ের জন্য বিশেষ করে ভিটামিন
বি১২ জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। হাইপো
থাইরয়েড ব্যক্তিদের জন্য যেসব ভিটামিন বি খাবার খাওয়া
প্রয়োজন সেগুলো হল - মাছ-মাংস,ডিম দুধ,কলা,কাজুবাদাম,কাঠবাদাম
,চিনা বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিন খাবার তালিকা রাখতে পারেন।
তাছাড়া হাইপো থাইরয়েড ভালো করার পাশাপাশি এইসব ভিটামিন বি জাতীয় খাবার শরীরে পর্যাপ্ত , ভিটামিন,মিনারেল,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম কার্বোহাইড এর অভাব প্রদান করবে। তার জন্য আমাদের ভিটামিন বি জাতীয় খাবার প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন আমাদের খাবারের তালিকা রাখা উচিত।
ভিটামিন- ডি জাতীয় খাবার খাওয়া- হাইপো থাইরয়েড হওয়ার আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে ভিটামিন ডি এর অভাব । আর আপনার শরীরে সূর্যের আলোয় একটি মাত্র জিনিস যেটা আপনার শরীরে ভিটামিন - ডি প্রস্তুত করতে পারবে। আপনার গলায় যদি হাইপোথাইরয়েড দেখা দেয় তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ২০ থেকে 25 মিনিট সূর্যের আলোয় থাকা সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন- ডি নেওয়া বা সানবাদ নেওয়া।
আরো পড়ুন - হাইপো থাইরয়েড রোগের ওষুধের নাম
সূর্যের আলো হাইপো থাইরয়েড ভালো করতে যেটুকু সূর্যের
আলো প্রয়োজন আপনার শরীর সেটুকু গ্রহণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন- ডি রয়েছে এমন কিছু খাবার যেমন
- গরুর দুধ,আপেল,কমলা,কমলালেবু,বেদানা,জামির,ডিমের কুসুম,সামুদ্রিক
মাছ,স্যালমন মাছ , জাম,কাঁচা কলা,পাকা কলা ইত্যাদি।
এরপরেও যদি আপনার শরীরে যদি মনে হয় যে ভিটামিন- ডি এর মাত্রা কম আছে তাহলে আপনার একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আয়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়া - অনেক সময় দেখা যায় আয়োডিনের অভাব হলেও হাইপো থাইরয়েড হয়ে থাকে। আপনি যদি হাইপোথাইরয়েড থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনার আয়োডিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আপনি যেসব খাবারে আয়োডিন পাবেন এসে খাবার গুলো হলো - গরুর দুধ,খাসির দুধ,ভেড়ার দুধ, মোষের দুধ,ঊটের দুধ,গাধার দুধ,টক দই,মিষ্টি দই,ইত্যাদি।
হাইপো থাইরয়েড হলে ওষুধ খাবার নিয়ম -
বন্ধুরা আমাদের প্রতিদিন আমাদের শরীরে কোন না কোন রোগ হয়ে থাকে কিন্তু হাইপোথাইরয়েড রোগ যেটা এত সহজে ভালো হতে চাই না। হাইপো থাইরয়েডটি রোগ ভালো করতে প্রচুর সময় ও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন । আপনার যদি হাইপোথাইরয়েড হয় তাহলে আপনাকে প্রতিদিন টাইম মত খাবার ও ওষুধ খেতে হবে । আপনি যদি ভুলে এক ওয়াক্ত খাবার খেতে ও ওষুধখেতে ভুলে যান তাহলে হাইপো থাইরয়েড আপনার শরীরে আবার দেখা দিবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url