ক্যান্সার রোগের লক্ষণ - ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে
আপনি যদি ক্যান্সার কি , ক্যান্সার কি ভাবে হয় ,ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ ,ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে ,ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে ,ক্যান্সার দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য ।
আমি বলছি আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ক্যান্সার কি , ক্যান্সার কি ভাবে হয় ,ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ ,ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে ,ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে ,ক্যান্সার দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র - ক্যান্সার রোগীর লক্ষণ - ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে
- ক্যান্সার কি
- ক্যান্সেল কেন হয়
- ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ
- ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা
- ক্যান্সার দূর করার ঘরোয়া উপায়
ক্যান্সার কি -
ক্যান্সার হল অনিয়মিত কোর্স সংক্রান্তের রোগ সমূহের সমষ্টি কোষ বিভাজনের। ক্যান্সার রোগ খুব একটা ভালো হয় না তার জন্য ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। প্রথম পর্যায়ে ক্যান্সার কোন রোগ সহজে ধরা পড়ে না। ফলে ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে গিয়ে কোন চিকিৎসা দিয়ে কোন কাজ হয় না। শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের রোগী মৃত্যু বরণ করে।
আসলে আজ পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে ক্যান্সার ভালো করতে ক্যান্সারের কোন ওষুধ আজ পর্যন্ত কোন প্রকারের ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যান্সার ভালো করতে ক্যান্সার রোগীর শরীরে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। কোন ব্যক্তির যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে সেই ব্যক্তিকে বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক আংশেই বেড়ে যায়।
111আরো পড়ুন - ব্রেস্ট ক্যান্সারের বা স্তন ক্যান্সার রোগের লক্ষণ
এই পুরো পৃথিবীতে প্রায় ২০০ প্রকারের ক্যান্সার হয়েছে। এই প্রত্যেকটি ক্যান্সারী আলাদা আলাদা হয়ে থাকে এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ের ক্যান্সারের নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে এবং ক্যান্সার সম্পর্কে আরো নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে
প্রত্যেকটি প্রাণী দেহের কোষ গুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায় ।আর ওই মৃত কোষ গুলোর জায়গা নতুন কোষ এসে দখল করে নেয়। এই কোষগুলো অসাধারণ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং নিয়মিত নতুন কোষের জন্ম দেয়। এক কথায় বলতে গেলে যখনই কোষগুলো কোন কারণ বসতো অনিয়ন্ত্রণ ভাবে বাড়তে থাকে তখনই শরীরের ত্বকের নিচে মাংসের এক প্রকারের চাকা দেখা যায়।
ক্যান্সার কেন হয় -
আসলে শরীরে কি কারনে ক্যান্সার হয় বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সেটা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বিজ্ঞানীরা কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছে।
বয়স - সাধারণত একজন মানুষের বয়স যত বাড়েতে থাকে ঠিক তেমনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ঝোঁকিও বাড়তে থাকে। কারণ একজন মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকবে তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দিন দিন কম থাকবে। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার শতকরা ৮৫ শতাংশের বয়স ছিল ৬০ বছরের উপরে।
খাবার খাওয়া ও জীবন যাপনের ধরন - একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়া ও জীবনযাপনের সাথে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে যেমন বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করা সিগারেট,বিড়ি,মদ,গাঁজা,বাবা,ইয়াবা,আইস,হিরোইন, ফেনসিডিল ইত্যাদি। এই সকল মাদকদ্রব্য খাওয়ার ফলে মুখে,গলায়,মারিতে কন্ঠনালীতে,পেটে বা লিভারে বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হতে পারে।
পরিবারেক ইতিহাস - বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারের সাথে জীনগত সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে। এর কারণে দেখা যায় পরিবারের এক সদস্য ক্যান্সারের আক্রান্ত হলে তার কিছুদিন পরে পরিবারের অন্যতম সদস্য ক্যান্সার আক্রান্ত হয়।
আরো পড়ুন - শুকনো কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়
পরিবেশ বা পেশাগত কারণে - ক্যান্সারের সাথে রাসায়নিক পদার্থের অনেক বড় ধরনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন জমেসোথেওমিয়া এটি একটি দুর্লভ ক্যান্সার যেটা দেখা যায় না, এতে পেটের ভেতরের দিকে ও ফুসফুসের চারিপাশে কোষগুলো আক্রান্ত করে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ দিনের ৯ জন জমেসোথেওমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।জমেসোথেওমিয়া ধাতুটি সাধারণত জাহাজে ব্যবহার করা হয়।
আর জাহাজের শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর স্পর্শ আসার সম্ভাবনা বেশি এবং এসব ব্যাক্তিদের রোগ হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক বেড়ে যায়। এই পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যেসব দেশে এড বেস্টট ধাতু ব্যান বা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তার সাথে রঙের কারখানা,গ্যাস শিল্পে,রাবার তৈরিতে নানান কাজে ব্যবহার করা হয় আর যারা এর স্পর্শে আসে তাদের মূত্র নালী সহ বিভিন্ন রোগ দেখা যায়।এর পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধাতু টাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ -
- ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে যেসব খাবার খাওয়ানো যাবে না -
- ফ্রিজে রাখা কোনো প্রকারের খাবার ক্যান্সার রোগীকে খাওয়ানো যাবে না
- ফরমালিন জাতীয় কোন খাবার ক্যান্সার রোগীকে খাওয়ানো যাবে না
- ঘরের বাইরে থেকে কোন প্রকার খাবার খাওয়া যাবে না যেমন শিঙ্গাদা,ফুসকা,ঝাল বরা,মুড়ি ভাজা ইত্যাদি
- অতিরিক্ত মসলা জাতীয় কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না
- অতিরিক্ত আগুনে পোড়ানো জাতীয় কোন খাবার খাওয়ানো যাবে না
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url