OrdinaryITPostAd

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় - গর্ভবতী নারীর দোয়া ও আমল

আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়,গর্ভবতী নারীর করণীয়,একজন গর্ভবতী নারীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য,গর্ভবতীর নারীর দোয়া ও আমল,গর্ভবতীর সময়ে বমি হলে করণীয় , গর্ভকালীন সময়ে রোজা রাখার নিয়ম,গর্ভকালীন সময়ে পেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়,গর্ভবতী নারীর করণীয়,একজন গর্ভবতী নারীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য,গর্ভবতীর নারীর দোয়া ও আমল,গর্ভবতীর সময়ে বমি হলে করণীয় , গর্ভকালীন সময়ে রোজা রাখার নিয়ম,গর্ভকালীন সময়ে পেটে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্র - গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় - গর্ভবতী নারীর দোয়া ও আমল 

  • গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় 
  • গর্ভবতী নারীর করনীয়
  • গর্ভবতী নারীর দোয়া ও আমল

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় -

এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মেয়ের স্বপ্ন গর্ভবতী বা মা হওয়ার। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক মেয়েকে এই সৌভাগ্য দেয় আবার অনেক মেয়েকে এই সৌভাগ্য দেয় না। পৃথিবীর প্রত্যেকটি অসুখ কেমন লক্ষণ আছে তেমনি গর্ভবতী হওয়ার ও অনেক লক্ষণ আছে। স্বামী স্ত্রী সহবাস করার৫থেকে ৬ সপ্তাহ পরই একটি ধার মেয়ে গর্ভধারণ করেছে কিনা সেটা বোঝা যায়।

আরো পড়ুন - প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়

যেমন পিরিয়ড মিস হওয়া , স্তন যুগলে পরিবর্তন , বমি বমি ভাব , বারবার প্রসব হওয়া , শারীরিক ক্লান্তি , মনের পরিবর্তন , গোপন স্থান থেকে রক্তপাত,ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ , কোষ্ঠকাঠিন্য,জ্বর , সর্দি ও কাশি,পেটব্যথা,খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন ইত্যাদি।

গর্ভবতী নারীর  করনীয় -

এক বিশেষ প্রক্রিয়া গর্ভধারণ মানুষ জন্মের। মহান আল্লাহ তায়ালা নারীদের দান করেছেন একইভাবে মাতৃত্বের মর্যাদাপূর্ণ। একজন নারী গর্ভে আল্লাহর রহমতে চলমান থাকে এ সময়। একজন গর্ভবতী নারীর জন্য এ এক পরম সৌভাগ্য।

গর্ভবতী নারীর দোয়া ও আমল -

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিখ্যাত একজন নারী সাহাবী উম্মে সালমা (রা:)  কে বলেছিলেন, "তোমাদের কেউ কি এতে খুশি নয় যে সে যখন স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভবতী হয় এবং স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন"। তখন এই গর্ভকালীন সময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সব সময় রোজা রাখে ও সারারাত সে নফল ইবাদত করে তার মতো সওয়াব পেয়ে থাকে একজন গর্ভকালীন নারী বা যখন গর্ভকালীন ব্যথা অনুভব হয়।

আরো পড়ুন - সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায়

তখন গর্ভকালীন নারী নয়ন শীতলকারী কি কি নিয়ামত লুকিয়ে রাখে। এই নিয়ামত আসমান -জমিনের কোন অধিবাসী জানেনা বা অনুভব করতে পারে না। কোন নারী যখন সন্তান প্রসব করে তখন সে নারীর দুধের প্রতিটি ফোটার পরিবর্তে একটি করে নেকি মধ্যে হয়। এই সন্তান যদি কোন রাতে কোন কারণ ছাড়াই তাকে জাগিয়ে রাখে বা কোন অসুখে ইত্যাদি বা বিভিন্ন কারণে বিরক্ত করে মাকে ঘুমাতে না দেয়।

তাহলে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার পথে নিখুঁত ৭০ টি গোলাম মুক্ত করার মত সওয়াব পাবে (তারবাণী হাদিসঃ৬৯০৮)। মাতৃগর্ভে ে মায়ের রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শিশু বেড়ে ওঠে। এ সময় সন্তানের উপর মায়ের চিন্তা চেতনা,মানসিকতা,মন বিরাট প্রভাব পড়ে। তাই গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেকটি মায়ের সুষম খাদ্য প্রয়োজন,বিভিন্ন মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে,চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে,প্রতিদিন দোয়া ও আমল করতে হবে ইত্যাদি।

নির্দিষ্ট কোন আমল নেই একজন নারীর গর্ভকালীন সময়ে। প্রতিদিনের প্রতিটি আমল যথাযথভাবে পালন করতে হবে কারণ সন্তানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ধরে রাখতে হলেও। এই সব আমলের পাশাপাশি নেক সন্তান লাভের আশায় মহান আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু আমল তৈরি করেছে সেগুলো বিশেষ করে পালন করতে হবে।

গুনাহ থেকে বাঁচা - প্রথমত, হারাম খাবার থেকে আমাদের সকলকে এবং আমাদের সন্তানকে সচেতন রাখতে হবে। একটি শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন সেই মায়ের রক্ত গ্রহণ করে সন্তান বড় হয়। সব সময় একটা দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন এ রক্তে পাপের সংমিশন যেন না থাকে।দ্বিতীয়ত, হারাম সম্পর্ক বা পর পুরুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। গর্ভকালীন সময় অন্য পর পুরুষের প্রতি কোন প্রকারের আকৃষ্ট হওয়া যাবে না। 

পর পুরুষের প্রতী কুদৃষ্টি,মনে মনে কুপরিকল্পনা,মোবাইল বা টিভির মধ্যে কোন পর পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া,মোবাইল ফোন বা কোন ডিভাইসের মাধ্যমে কোন অনৈতিক কোন কিছু উপভোগ করা,বেপর্দায় চলাফেরা করে,প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া । গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেকটি নারীকে এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরো পড়ুন - গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় - গর্ভবতী নারীর দোয়া ও আমল 

 গর্ভকালীন সময় যদি কোন মা এসব কাজ থেকে বিরত না থাকতে পারে তাহলে সেই সন্তানের মাঝেও এই কুপ্রভাব পড়তে পারে। যদি কোন মা গর্ভকালীন সময়ে নে ককার  সন্তানের আশায় যদি গুনাহ মুক্ত জীবন যাপন করে তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে একটি নেককার সন্তান দান করবে। যেটা পরবর্তী জীবনে হবে সুখময়। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, "কষ্টের সঙ্গে আছে সুখ" (সুরা ইনশীরা আয়াত- 6 )।

নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া -পৃথিবীর প্রত্যেকটি মুসলিমের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। আর নামাজ মানে ইবাদত। নামাজ প্রত্যেকটি মানুষের অশ্লীলতা ও মন্দ কাছ থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে তার পাশাপাশি নামাজ আমাদের অন্তরে স্বস্তি ও প্রশান্তি নিয়ে আসে। একজন গর্ভবতী নারীদের সব সময় তাদের মধ্যে অস্থিরতা ও অশান্তি কাজ করে। গর্ভকালীন নারীদের অশান্তি ও অস্থিরতা দূর করতে হলে তাদেরকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত মেনে নামাজ পড়তে হবে।

কোন গর্ভকালীন নারী যদি বেশি বেশি ফরজ নামাজ ও বেশি বেশি নফল ইবাদত করে তাহলে গর্ভকালীন মায়েদের মানসিক ও শারীরিক দুটোই শান্তি পাবে তাছাড়া যত মানসিক সমস্যা আছে তা থেকে মুক্তি পাবে। নামাজের সময় হলে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) হযরত বেলাল(রা:) কে বলতেন, তোমার নামাজের ব্যবস্থা কর কারণ নামাজের মাধ্যমে আমাকে তৃপ্ত করো(আবু দাউদ, হাদিস ৪৩৩৩)।

আল্লাহ জিকির - পৃথিবীর প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়ের দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা দূর করার আরেকটি কার্যকরী উপায় হল জিকির। গর্ভকালীন সময়ে ছোট ছোট করতে হবে যেমন,আল্লাহ,আল্লাহু আকবার,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ,সুবাহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,মাশাআল্লাহ,ইয়া ফাত্তাহু ইত্যাদি।

 এ সকল জিকির করলে গর্ভকালীন সময়ে আপনার হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন তাছাড়া আপনার নেককার সন্তান লাভ করবেন।মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,যারা ঈমান আনে আল্লাহ জিকিরের মাধ্যমে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয় জেনে রেখো আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে অন্তর প্রশান্ত হয়। (সূরা রাদ আয়াত- ২৮)।

আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করা - একটি নারীর জন্য গর্ভধারণ আল্লাহর বিশেষ সৌভাগ্য ও দান। পৃথিবীতে অনেক নারী আছে যারা বছরে পর বছর আল্লাহর এই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পৃথিবীতে অনেক নারী আছে একটি সন্তানের আশায় বছরে পর বছর  চেষ্টা করেও কোন সন্তান হয় না। 

তাই প্রত্যেকটি নারীকে গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে কারণ আল্লাহ তাকে একটি সন্তান দান করেছেন।মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর , আমার অকৃতজ্ঞ হইও না(সূরা বাকারা আয়াত ঃ ১৫:)।

প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত - পবিত্র আল-কোরআন বরকতময় একটি কিতাব। পবিত্র আল-কোরআন তেলাওয়াত বা পাঠ করার  বরকত ও ফজিলত বহু আল কোরআনেও হাদীসে উল্লেখ আছে। তার জন্য কোন গর্ভবতী মা যদি একটি সুসন্তান ও নেককার সন্তানের আশায় থাকে তাহলে তাকে প্রত্যেকদিন কোরআন তেলাওয়াত ও পাঠ করতে হবে। তাছাড়া আনুমানিক ২৫ সপ্তাহ পর গর্ভে থাকা সন্তান   কোন শব্দ সোনার ক্ষমতা রাখে বা অর্জন করে।

আপনি যদি নেককার সন্তান পেতে চান ও কোরআন শরীফের সঙ্গে যদি আপনার সন্তানের সম্পর্ক জুড়ে দিতে চান তাহলে আপনাকে প্রত্যেকদিন কোরআন তেলাওয়াত করা উচিত।

বেশি বেশি দোয়া করা - দোয়া এমন একটি জিনিস যা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। দোয়া মানুষের বিপদআপদে আস্থা ও ভরসা আদায়। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মা গর্ভধারণের সময় প্রসব বেদনার কথা মনে করে ও নানান জটিলতার কথা মনে করে এ সময়ে প্রত্যেকটি মায়ের অসস্তিবোধ হয়। আর এই ভয় ও অস্থিরতা এবং দুশ্চিন্তা আপনার সন্তানের উপর অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই এই সময় প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়ের দোয়ার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।

  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪